কেপিসিএল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ছে আরও তিন বছর
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১ , ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ খাতের খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড-কেপিসিএলের দুই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ আর তিন বছর বাড়ানো হচ্ছে। এর আগে বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। কেপিসিএলের দুই বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়াও সামিট পাওয়ার ও ওরিয়ন গ্রুপের মালিকানাধীন ওরিয়ন পাওয়ার মেঘনা ঘাট এবং অপরটি ডাচ্-বাংলা পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসেরও একটি করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।কোম্পানিগুলোর মধ্যে কেপিসিএলের দুটি কেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা ১৫০ মেগাওয়াট, নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জে সামিটের কেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা ১০২ মেগাওয়াট, ওরিয়নের মেঘনা ঘাট ও ডাচ্-বাংলার পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটের সিদ্ধিরগঞ্জের উৎপাদনক্ষমতা ১০০ মেগাওয়াট করে ২০০ মেঘাওয়াট।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ানোর জন্য জাতীয় সংসদে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১’ পাশ হয়। এর প্রেক্ষিতে পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়াতে আগামীকাল মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা তিনটায় বিদ্যুৎ ভবনে বৈঠক আহ্বান করেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়। এতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসংশ্লিষ্ট ১৪টি বিভাগের প্রতিনিধি এবং পাঁচটি বিদ্যুৎ কোম্পানির প্রতিনিধিদের থাকতে বলা হয়েছে। এর আগে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর অসহনীয় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি মোকাবিলায় রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর নির্ভর করে। প্রথমে পাঁচ বছরের জন্য এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি হয়। পরে তা আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হয়।
সম্প্রতি এই পাঁচটি কোম্পানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বিশেষ করে কেপিসিএলের বিনিয়োগকারীরা হতোদ্যম হয়ে পড়েন। কোম্পানিটির শেয়ারদরও অনেক পড়ে যায়। যদিও কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের প্রতিবছরই ভালো ডিভিডেন্ড দিয়ে আসছে। সেই তুলনায় সামিটের বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি কম। কারণ কোম্পানিটির আরও অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। অন্যদিকে, ওরিয়ন গ্রুপেরও অন্য ব্যবসা আছে। যে কারণে সামিট ও অরিয়ন ফার্মার শেয়ার দর কেপিসিএলের মতো এতোটা পতন দেখেনি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্ত হয় কেপিসিএল। সেই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি হয় গড়ে ২১৪ টাকায়। কোম্পানিটির বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে-এ খবরে গত দুই বছর যাবতই শেয়ারটি ক্রমাগত পতনে থাকে। কোম্পানিটির বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটির নবায়নের খবরে এখন হয়তো বিনিয়োগকারীদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হতে পারে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির ৬৯.৯৯ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৮.৭৪ শতাংশ। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ০.২১ শতাংশ আর ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২১.০৬ শতাংশ শেয়ার।