কোরালের আশ্চর্য ক্ষমতা
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৯, ২০১৬ , ৪:১৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
অনলাইন ডেস্ক: উদ্ভিদকুল যে বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে, একথা সবার জানা। কিন্তু বন-জঙ্গল উজাড় কেরে ফেলে আমরা নিজেরাই প্রতিনিয়ত কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়িয়ে চলেছি। বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। ওজন স্তরের ক্ষয় হচ্ছে। হিমালয় ও মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে তলিয়ে যেতে পারে উপকূলবর্তী দেশগুলো। বাংলাদেশও রয়েছে সেই ঝুঁকিতে।
এছাড়াও বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড বাড়িয়ে দেয় সুমুদ্রের পানির অম্লতা। ফলে ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমুদ্রের পরিবেশ। তার প্রভাব পড়ছে সামুদ্রিক প্রাণীদের ওপর। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।
তাই বিজ্ঞানীদের মাথায় ঘুরছে নানা চিন্তা— কীভাবে বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমানো যায়।
কিন্তু মানুষের অলক্ষ্যে একটা সামুদ্রিক জীব একাজ করে যাচ্ছে। জীবটা হচ্ছে সামুদ্রিক কোরাল। এরা আম্লিক কুফল থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে। শুধু নিজেদের রক্ষা নয়, সমুদ্রের অন্যপ্রাণিদেরকেও বাঁচিয়ে দিচ্ছে।
অন্যপ্রাণিদের বা বলি কেন? যে প্রক্রিয়ায় এরা নিজেদের রক্ষা করছে, তাতে উপকার হচ্ছে পৃথিবীর তাবৎ জীবকুলের। এমনকি পৃথিবীরও!
তাহলে রহস্যটা খুলেই বলা যাক। এরা বিশেষ উপায়ে বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নিয়ে সেগুলোকে কঠিন কার্বন ডাই অক্সাইডে পরিণত করতে পারে। বিজ্ঞানীরা এই কঠিন কার্বন ডাই অক্সাইডকে বলে কার্বণ ডাই অক্সাইডের কঙ্কাল। ফলে বাতাস থেকে প্রচুর পরিমাণে এ গ্রিনহাউস গ্যাস কমে যাচ্ছে।
এখন ভাবুন তো এই কোরালগুলো নিজেদের বাঁচাতে গিযে পৃথিবীর কী উপকারটাই না করছে!