ক্ষতির মুখে কেনিয়ার কফি ব্যবসায়ীরা
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১৩, ২০২০ , ১১:০১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে ডেস্ক : বৈশ্বিক কফি বাজারে কেনিয়ায় উৎপাদিত পণ্যের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। বিশেষত ভালো মানের, ফ্লেভারযুক্ত দামি কফি উৎপাদন ও রফতানি করে পরিচিতি পেয়েছে কেনিয়া। কফির বাজারে এসব পণ্যকে বলা হয় স্পেশালিটি কফি। তবে সংকটে পড়েছেন কেনিয়ার স্পেশালিটি কফি ব্যবসায়ীরা। আর এর মূল কারণ নভেল করোনভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী। খবর রয়টার্স। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন চলছে। এতে পানীয় পণ্যটির ভোক্তারা রেস্টুরেন্টে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে চাহিদা ক্রমেই কমছে এ ধরনের কফির। এ পরিস্থিতিতে লোকসানের মুখে পড়েছে কেনিয়ার স্পেশালিটি কফি ব্যবসায়ীরা। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ কফি উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় কেনিয়ার অবস্থান ২১তম। অভ্যন্তরীণ চাহিদা কম থাকায় দেশটিতে উৎপাদিত কফির ৯৫ শতাংশই আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি হয়। তবে এর বেশির ভাগ হিস্যা থাকে উন্নত মানের ও দামি কফির দখলে। স্পেশালিটি কফি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, কেনিয়া প্রতি বছর যে পরিমাণ কফি বিক্রি করে, তার প্রায় অর্ধেকজুড়ে থাকে উন্নত ও দামি কফি। গত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক কফির বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। ২০১৯ সালে অ্যারাবিকা কফির দাম কমে ১৩ বছরের সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছিল। ফলে কেনিয়ার কফি ব্যবসায়ীরা তুলনামূলক দামি কফি উৎপাদনে আরো বেশি ঝুঁকে পড়েন। দেশটির কফি রফতানিকারক জ্যাকসন কানাম্পি জানান, কফির দাম ক্রমেই কমতে থাকায় গত বছর থেকে তিনি স্পেশাল কফি উৎপাদন করছেন। এতে আর্থিক লাভের পরিমাণ বাড়ে। তিনি বলেন, মহামারীর সংক্রমণ রোধে বিশ্বজুড়ে কফি শপগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। কফির ক্রয়াদেশ একের পর এক বাতিল হচ্ছে। নভেল করোনাভাইরাস দেউলিয়া বানানোর পথ তৈরি করেছে। এ পরিস্থিতিতে বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়েছে কেনিয়ার অর্থনীতি। কফি রফতানি দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান একটি উৎস। ইন্টারন্যাশনাল কফি অর্গানাইজেশনের (আইসিও) তথ্য অনুযায়ী, কেনিয়ার প্রায় আট লাখ মানুষ কফি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। দেশটির শীর্ষ পাঁচটি রফতানি পণ্যের অন্যতম কফি। তবে খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু কেনিয়ার নয়, পুরো বিশ্বের কফি খাতে একই চিত্র বিদ্যমান। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক কোম্পানি ট্র্যাবোকার স্পেশাল কফি ক্রেতা ম্যাথিউ হ্যারিসন বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে স্পেশাল কফির বৈশ্বিক চাহিদা অস্বাভাবিক কমছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) এশিয়ায় পণ্যটির চাহিদা ৬০ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে পানীয় পণ্যটির চাহিদা ৪০ শতাংশ কমেছে। আগামী মাসগুলোতে বিশ্বজুড়ে স্পেশাল কফির চাহিদা আরো কমে যেতে পারে।