ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৮, ২০২০ , ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (সিএমএসএমই) জন্য সরকার যে ২০ হাজার কোটি টাকার চলতি মূলধন দেয়ার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, এর অর্ধেক অর্থের জোগান দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। এর মধ্যে অর্ধেক, অর্থাৎ, ৪ দশমিক ৫ শতাংশ পরিশোধ করবে ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান। বাকি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে। এই তহবিল থেকে ঋণের অর্ধেক ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো। সব ব্যাংক ঋণ দেয়ার পর এ তহবিল থেকে অর্থ নিতে আবেদন করতে পারবে। তবে দুর্বল ব্যাংকগুলোর আবেদন কেস টু কেস ভিত্তিতে বিবেচনা করবে বলে জানানো হয়েছে। এ তহবিলের মেয়াদ তিন বছর। তবে প্রতিটি ঋণের মেয়াদ এক বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংককে টাকা ফেরত দিতে হবে ব্যাংকগুলোকে। বিলম্ব হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাব থেকে ২ শতাংশ সুদসহ টাকা কেটে নেবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারের আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং মাঝারি শিল্পে চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা দিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারল্য প্রবাহ নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ হাজার কোটি টাকার এই আবতর্নশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিম করেছে। এই তহবিল থেকে ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিতরণ করা ঋণের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ অর্থ পুনঃঅর্থায়ন করা হবে। স্কিমের নাম হবে ‘করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় সিএমএসএমই খাতে চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’। এর আওতায় পুনঃঅর্থায়নে আগ্রহী ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে একটি অংশগ্রহণমূলক চুক্তি করতে হবে। এই তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস্ ডিপার্টমেন্ট। নীতিমালায় বলা হয়েছে, ঋণ বিতরণের পর পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পূর্ববর্তী মাসে বিতরণ করা মোট অর্থের ৫০ শতাংশ পুনঃঅর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। আর পুনঃঅর্থায়নের বিপরীতে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সুদ বাংলাদেশ ব্যাংককে পরিশোধ করতে হবে।