আজকের দিন তারিখ ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
রাজনীতি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা বলছেন চিকিৎসক ও বিএনপি নেতারা

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা বলছেন চিকিৎসক ও বিএনপি নেতারা


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩ , ৩:২২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি


দিনের শেষে প্রতিবেদক : সরকারের নির্বাহী আদেশে কারামুক্তি পেয়ে গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠাতে বিএনপি ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে তাকে দ্বিতীয় দফায় নেওয়া হয়েছে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। তার অবস্থা ‘সংকটজনক’ বলে দাবি করছেন বিএনপি মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এবার তাকে মুক্তির পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বিএনপির তরফ থেকে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে দেখে এসে মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডামের এই রকম চেহারা আগে কখনও দেখিনি। যে নেত্রী সবসময় শক্ত মন নিয়ে সব প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে ওঠেন, পাঁচ বছর বন্দি থাকা অবস্থায় কখনও তার চোখে পানি দেখিনি, গতকাল তাকে অত্যন্ত অসুস্থ দেখেছি। প্রথমবারের মতো মনে হয়েছে, সত্যি আমাদের মাতা অনেক বেশি অসুস্থ। আমরা তার চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছি না।

অন্যদিকে, চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে না পাঠালে এবং তার কিছু হয়ে গেলে পরিণতি শুভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসকরা বলছেন, ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার, ফুসফুস, কিডনি, আর্থাইটিস, হৃদরোগসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সমস্যা তার লিভারে। বাংলাদেশে তার আর কোনো চিকিৎসার সুযোগ নেই। তার এখন প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসা। সেজন্য যত দ্রুত সম্ভব তাকে বাইরে পাঠানো দরকার।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর কারাবন্দি ছিলেন। করোনা মহামারি শুরু হলে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ সাজা স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ওই সিদ্ধান্ত নেয়।

সে আবেদনে আইনের ধারা উল্লেখ না থাকলেও আইনগত দিক খতিয়ে দেখে সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা-১ এর বিধান প্রয়োগ করে দণ্ড স্থগিত ও মুক্তির ওই সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। অবস্থার অবনতি দেখে গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ফের তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু এই আবেদনের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।