আজকের দিন তারিখ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা যাচাইয়ে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন

গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা যাচাইয়ে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ২, ২০২০ , ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


দিনের শেষে ডেস্ক : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সে অনুমতির ওপর ভিত্তি করে কিটের কার্যকারিতা যাচাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। আজ শনিবার দুপুরে হাসপাতালটির ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী দিনের শেষেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সাইফ উল্লাহ মুন্সী বলেন, ‘আজ সকালেই এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের কার্যকারিতা যাচাইয়ের জন্য। আজই হয়তো লিখিত অফিস অর্ডার হয়ে যাবে। তার পর থেকে আমরা চূড়ান্তভাবে কার্যকারিতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করব সাইফ উল্লাহ মুন্সী বলেন, ‘বিএসএমএমইউর ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহিনা তাবাসসুমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আমিও আছি। আমাদের কমিটি কার্যকারিতা যাচাইয়ের পর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে চূড়ান্ত একটি রিপোর্ট দেবে। সে রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে ঔষধ প্রশাসন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে জানিয়ে দেবে, তাদের কিট নমুনা পরীক্ষার অনুমতি পেল, নাকি পেল না। এর আগে ৩০ এপ্রিল বিকেলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আমাদের কাছে চিঠি লিখে অনুমতি চেয়েছিল কিট ট্রায়ালের। আমরা আজ অনুমতি দিয়ে দিয়েছি। যদিও এটার জন্য অনুমতি লাগার কথা না। গণস্বাস্থ্য তাদের উদ্ভাবিত কিটের ট্রায়াল করতে পারবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র-বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। এ দুটির ভেতরে যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠানে তারা ট্রায়াল দেবে।’ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরো বলেন, ‘ট্রায়ালের সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান খতিয়ে দেখবে তাদের কিট করোনা পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত কি না। এরপর প্রতিষ্ঠানটি আমাদের ওই কিট সম্পর্কে একটি রিপোর্ট দেবে। ওই রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। তারপর আমাদের যদি মনে হয় সবকিছু ঠিকঠাক আছে, তখন আমরা নমুনা পরীক্ষার জন্য তাদের কিটের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে দেব।’