চট্টগ্রাম নিয়ে চিন্তা করার কি কেউ নেই? প্রকাশের পর আলোচনার ঝড়, সরব চট্টগ্রামবাসী
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৪, ২০২০ , ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ উন্নত জনবান্ধব নগর গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের উন্নাসিকতা বিষয়ক ‘চট্টগ্রাম নিয়ে চিন্তা করার কি কেউ নেই?’ শিরোনামে বিশেষ কলাম প্রকাশিত হয়েছে ভোরের কাগজ ও দিনের শেষে। গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও ভোরের কাগজ, দিনের শেষে সম্পাদক শ্যামল দত্তের এই লেখায় চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ নাগরিক মানসিকতার প্রকৃত চিত্র উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোরের কাগজ ও দিনের শেষে অনলাইনে প্রকাশিত লেখাটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। চট্টগ্রামসহ সারাদেশের পাঠকরাই লেখাটি পড়ে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অনলাইনে সরাসরি ও ভোরের কাগজ লাইভ ফেসবুক পেইজে নেটিজেনরা অসংখ্য মন্তব্য করেছেন। সেসব মন্তব্য থেকে বিশেষ কিছু অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
মোহাম্মাদ এ খান (Mohammad A Khan) লিখেছেন, বারো আউলিয়ার শহর, মাইজভাণ্ডারির শহর, সুফি, মুর্শিদি, কবিয়ালের শহর চট্টগ্রাম এখন দেওবন্দী ঘরানার চাপে কোণঠাসা এবং ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ সবাই এখন হাটহাজারীমুখী।
ওমর কায়সার (Omar Kaiser) লিখেছেন, খুবই প্রয়োজনীয় সময়োপযোগী লেখা।
প্রণব ভট্টাচার্য্য (Pranab Bhattacharjee) লিখেছেন, নির্ভেজাল সত্য, চমৎকার। জন্মের পর থেকে শুনে এসেছি চট্টগ্রাম বন্দর নগর, দেশের হৃদপিণ্ড, সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এসব বহুল ব্যবহৃত কথা বলে মূলত চট্টগ্রামবাসীর চোখে পট্টি দিয়ে রাখা হয়েছে। দেশের রাজস্ব আদায়ের প্রধান স্থানও এই চট্টগ্রাম। স্বাধীনতার ৫০ বৎসরে চট্টগ্রামের কোনো দিকে উল্লেখ করার মতো উন্নয়ন হয়েছে?
দীপ্তা চৌধুরী (Dipta Choudhury) লিখেছেন, সত্যি বড় সুন্দর করে আসল সত্যটা মার্জিত রুচিতে উপস্থাপন করেছেন। আশাকরি আমরা, যারা চট্টগ্রামের প্রকৃতির রূপ সৌন্দর্যে অভিভূত, তার উন্নতিকল্পে আর সাধারণ মানুষের শিক্ষা স্বাস্থ্যের কথা ভেবে, সম্মানিত ধনাঢ্য ব্যক্তি বর্গ কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন। উপরওয়ালার আশীর্বাদ প্রাপ্তি হবে এবং জনতার শুভকামনা জীবনআয়ু প্রলম্বিত করবে। কারণ, করোনা বুঝিয়ে দিয়েছে ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি ছাড়া কোনোকিছু দ্বারাই মুক্তি সম্ভব নয়। ঈশ্বর সহায় হোন সবার এই প্রার্থনা করি।
সারওয়ার আমিন বাবু (Sarwar Amin Babu) লিখেছেন, সময়োপযোগী লেখা। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ পড়ে গেছে। সেটা হলো প্রশাসনিক সিস্টেম ও বৈষম্য। তিনি চট্টগ্রামের শিল্পপতি, ব্যবসায়ীদের ওপর দোষ চাপিয়ে গেলেন। কিন্তু তিনি নিজেই জানেন, এখানকার শিল্পপতিদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় আমলাতান্ত্রিক প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তারা অনেক কিছুই পারেন না। তাই প্রয়োজন প্রশাসনিক দ্রুততা, স্বচ্ছতা ও বিকেন্দ্রীকরণ। তবে লেখককে ধন্যবাদ, এ বিষয়ে কিছু বলার জন্য সুযোগ করে দিয়েছেন। লেখক একজন বিখ্যাত সাংবাদিক ও চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান। তিনি সাহস করে বলতে পারেন, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম বিষয়ক একটি আলাদা মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর করা হউক। অথবা সিটি কর্পোরেশনকে সিটি গভর্নমেন্ট ঘোষণা করা হউক।
মোহা. হাবিবুল্লাহ (Mohd Habibullah) লিখেছেন, Correct absuletely. Thanks to Mr. Shamal Daa for a such opanion, Mass Residents of Chittagong are always neglected from post liberation period. Major revanue, duty earns by Govd. from Chittagong, but it is very regretable to say that no International standard hospital, Medical college, health services are available for the people. I also understand that expats of Chittagong remit huge foreign currency to the nation. & hence, called them “remittance fighter” but now we see the situation of expats in Covid-19, how jobless expats are suffering for treatment, safety. finance support etc.
অ্যাড. রাজীব মল্লিক (Adv Rajib Mallick) লিখেছেন, চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী না, ব্যবসায়ী নামে ডাকাত আছে। চাক্তাই খাতুনগঞ্জের দিকে তাকালে এটি দেখা যায়। মজুতদারী আর সিন্ডিকেন্ডের মাধ্যমে কীভাবে দেশের মানুষের রক্ত চুষবে হরহামেশা এটিই ভাবে।
সাইয়িদ এম বদরুদ্দোজা (Sayeed M Badruddoza) লিখেছেন, চট্টগ্রামের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে আপনার ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে। ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্তু চট্টগ্রামের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের কি সময় আছে আপনার এই লেখা পড়ার?
রফিকুল ইসলাম (Rafiqul Islam) লিখেছেন, আপনি যথার্থই লিখেছেন চট্টগ্রামে কি আর কখনো রোগবালাই আসবে না? বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে চট্টগ্রামের মাননীয় মন্ত্রী-এমপি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ধনী ব্যবসায়ীরা সাবধান না হয় এবং সুষ্ঠ চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে না তোলে তবে চট্টগ্রামবাসীর ভাগ্যে আরো দুর্দশা আছে। এস আলম পরিবারের জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ ও সহানুভূতি প্রকাশ করছি। এস আলম পরিবার না হয় উন্নত এম্বুলেন্স নিয়ে ঢাকায় চলে গেছে। কিন্তু তাদের সব আত্মীয় স্বজন কি এভাবে ঢাকায় বা বিদেশে যেতে পারবে? চট্টগ্রামের সাধারণ জনগণ কি ঢাকায় যেয়ে আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবে? চট্টগ্রামে এখনো অনেক করোনা রোগী হাসপাতালে সিটের অভাবে ভর্তি হতে এবং চিকিৎসা নিতে পারছে না। তাই চট্টগ্রামের মাননীয় মন্ত্রী, এমপি ও শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ অতিসত্বর করুনা চিকিৎসার জন্য সুব্যবস্থা করুন।
সঞ্চয়ন বড়ুয়া (Sanchayan Barua) লিখেছেন, সত্যের দারুণ উপস্থাপনা। আমার মনে হয়, চট্টগ্রামকে নিয়ে ভেবেছিলেন চৌধুরী পরিবার। তাই, চট্টগ্রাম পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকাল কলেজ হাসপাতাল। এরপর কেউ নেই। সাকা চৌধুরী বলেছিলেন, গাভী-গরুর মুখ চট্টগ্রামে, আর দুধ দেয় ঢাকায়। দুঃখজনক। আমি ভোট দেই, ট্যাক্স দেই, কিন্তু আমি বাঁচতে পারিনা। আমি কেন নির্বাচনে ভোট দিব, ভাবার সময় এসেছে। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
জানে জানে (Jane Jane) লিখেছেন, শতভাগ সত্য যে নেতা, মন্ত্রী থাকলেও চট্টগ্রামকে নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে চিন্তা করার মতো কেউ কোথায়ও নেই। আপনি আপনার বাস্তব উপলব্ধি এবং অভিজ্ঞতার আলোকে চট্টগ্রামের প্রকৃত অবস্থাটি প্রাঞ্জল ভাষায় পত্রিকায় প্রকাশ করায় আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
রেজাউল করিম মাসুদ (Razaul Karim Masud) লিখেছেন, সারা বাংলাদেশের নাভি হলো চট্টগ্রাম। আর সেই চট্টগ্রাম আজ সবার কাছে অবহেলিত। ভাবতে অবাক লাগে। সময়োপযোগী এমন একটা লেখার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মনোয়ারা বেগম (Manoara Begum) লিখেছেন, অনেক ভালো লাগলো। তবে চট্টগ্রামে একটু টনক নড়লে ভালো হয়।
জাহিদ চৌধুরী মনজু (Jahed Chy Manzu) লিখেছেন, এদেশের সবকিছুতেই পক্ষপাতিত্বের একটি অদৃশ্য দেয়াল দেয়া আছে। স্বীয় লাভের আশায় নিজ পক্ষকে অসন্তুষ্ট করে সত্যের পক্ষে কেউ এখন লিখতে চাইনা। চট্টলবীরের অভাব আজ চট্টগ্রামবাসী হাড়ে হাড়ে অনুভব করছে। আর চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের এই অনুভূতিটুকু আপনি সত্য, সুন্দর ও সাবলীল বক্তব্যে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
এমএ তাহের (M. A. Taher) লিখেছেন, যে সমস্ত এমপি মন্ত্রী আছে সবাই সুবিধা ভোগ করার জন্যে প্রাণপ্রিয় চট্টগ্রামকে ব্যবহার করে গেছে, সবার নলেজে থাকা দরকার এদের চিনে রাখবেন। অতীতে কাজে লাগাবেন, ভোটের জন্য আসলে।
সারওয়ার এইচ জামিল (Sarwar H. Jamil) লিখেছেন, এখন মানুষ হাড়ে হাড়ে অনুধাবন করতে পারছে এক মহিউদ্দীন চৌধুরী চট্টগ্রামের জন্য কত বড় অভিভাবক ছিলেন। উনার কোনো বিকল্প নিকট ভবিষ্যতে দেখা যাবে সে আশাও গুড়েবালি।