চিনি ‘উধাও’ বাজার থেকে, মিল মালিকরা বলছেন গ্যাস সংকট
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ২১, ২০২২ , ৬:১৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : দফায় দফায় দাম বাড়ার পরও বাজারে চিনির সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা মিল মালিকদের দুষছেন। অন্যদিকে মিল মালিকরা গ্যাস সংকটকে দায়ী করছেন। তিন দফায় বেড়ে খুচরা বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা পর্যন্ত। যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। এর আগে গত ৬ অক্টোবর কেজিপ্রতি ছয় টাকা বাড়িয়ে চিনির দাম ৯০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। গতকাল রাজধানীর লালবাগ, নিউমার্কেট, হাতিরপুল, কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন পরিস্থিতি জানা গেছে।
রাজধানীর নিউমার্কেটের দোকানদার মাহমুদ হোসেন বলেন, বাজারে চিনির সরবরাহ কমেছে। কোম্পানিগুলো প্যাকেটজাত চিনি সরবরাহ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। ভোক্তাদের অভিযোগ, ভোজ্যতেলের মতো চিনির বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, মিল মালিকরা চিনি সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। চাহিদা অনুযায়ী চিনি দিচ্ছেন না। মিলাররা মজুত করে সংকট সৃষ্টি করছেন। তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দেন মিল মালিকরা। তারা জানান, গ্যাস সংকটে ভুগছে চিনি পরিশোধনকারী কারখানাগুলো।
কারওরান বাজারের ব্যবসায়ী লাভলু মিয়া জানান, কিছু চিনি আছে। সেগুলো পাইকারিতে আমরা কেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। খুচরা ব্যবসায়ীরা ১০৫ টাকায় বিক্রি করছেন। লালবাগের রুবেল স্টোরের মালিক মো. জানান, কিছু প্যাকেট ছিল, বিক্রি হয়ে গেছে। বিক্রি করার মতো এখন খোলা বা প্যাকেট কোনো চিনিই নেই। এদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে গেছে মোটা চাল, পেঁয়াজের দামও। অন্যদিকে শাক-সবজি, মাছ-মাংসসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এখনো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। কমেনি ডিম এবং ব্রয়লার মুরগির দামও। ফলে বাজারে নেই কোনো স্বস্তির খবর। গতকাল সকালে রাজধানীর রামপুরা, তালতলা ও মালিবাগ বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারের চালের দোকান ঘুরে জানা যায়, মোটা চালের মূল্যবৃদ্ধিতে নিম্নআয়ের মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এক সপ্তাহ আগেও খুচরায় যে চালের দাম ছিল ৫২-৫৪ টাকার মধ্যে, সেই চাল কিনতে আজ গুনতে হচ্ছে ৫৬-৫৮ টাকা।
এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে, বাজারে অধিকাংশ দোকানে স্বর্ণা জাতের মোটা চাল নেই। যেটা বিক্রি হচ্ছে সেটা পাইজাম, যা প্রতিকেজি ৫৬-৫৮ টাকা। রামপুরা বাজারের চাল বিক্রেতা জালাল হোসেন বলেন, মৌসুম শেষ বলে কমদামের স্বর্ণা চাল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। সেজন্যে দেশি ও ভারত থেকে আমদানি করা পাইজাম এখন মোটা চাল হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। তবে পাইজামের দাম স্বর্ণা থেকে প্রতি কেজিতে ২-৪ টাকা বেশি। ওই বাজারের চা বিক্রেতা ইউনুস হোসেন বলেন, ১০ কেজি চাল কিনতে গেলে একদিনের রোজগারের টাকা পুরোপুরি শেষ। প্রতি সপ্তাহে একদিনের রোজগারের টাকা চালের পেছনেই চলে যায়। ফলে অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।