আজকের দিন তারিখ ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ সুবর্ণচরে ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ

সুবর্ণচরে ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৮, ২০২৩ , ৪:২০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় মোবাইল ফোনে রং নম্বর পরিচয়ের পর অপহরণ করে এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সোমবার (৮ মে) নির্যাতিতা তরুণী নিজে বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবক সহ আরো দুই জনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বর থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত যুবক নাজিমুল হক সুমন (২৬)। সে জেলার সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নর পূর্ব সাহাপুর গ্রামের হাজী মজিবুল হকের ছেলে ও তার মেয়ে রুমি আক্তার (২৩)। অপর আসামি মর্জিনা আক্তার (৪৩) উপজেলার লক্ষীনারায়নপুর এলাকার মো.শাহীনের স্ত্রী। এ ছাড়াও মামলায় আরো ৩-৪জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়,ভিকটিম উপজেলার স্থানীয় একটি ফাজিল মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত চার মাস আগে তার ব্যবহৃত নম্বর থেকে তার একজন সহপাঠিকে কল দেওয়ার সময় একটি নম্বর ভুল হয়ে নাজিমুল হক সুমনের (২৬) মুঠোফোনে কল চলে যায়। পরবর্তীতে সুমন তাকে প্রতিনিয়ত কল করত। এরপর সুমন ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। ভিকটিম তার প্রস্তাবে রাজি না হলে, সে শুধুমাত্র ভিকটিমের সাথে একবার দেখা করার অনুরোধ করে। ভিকটিম তার কথা বিশ্বাস করে দেখা করার প্রস্তাবে রাজি হয়। একপর্যায়ে গত ২৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুমন অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগীতায় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ভিকটিম মাদরাসায় যাওয়ার পথে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে জেলা শহর মাইজদীতে নিয়ে যায়। ওই সময় সুমন ভিকটিমকে সদর উপজেলার লক্ষীনারায়নপুর এলাকার তার খালা মর্জিনা আক্তারের ইসমাইলামিয়া চৌকিদার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে রুমি আক্তার ও মর্জিনা আক্তারের সহযোগীতায় ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে সুমন এবং ভিকটিমকে তাদের বসত ঘরে আটকে রাখে। ভিকটিম গত রোববার ৭ মে ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য উঠলে, একটি মোবাইল থেকে কৌশলে তার ভাইয়ের মুঠোফোনে ম্যাসেজ দিয়ে সংক্ষেপে ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে ঘটনাস্থলের নাম লিখে দেয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা সবাই পালিয়ে যায়। চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা করছে।