ছেলেকে নিয়ে কুমার বিশ্বজিতের আবেগঘন স্ট্যাটাস
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:৩১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: বিনোদন
দিনের শেষে ডেস্ক : কানাডার টরন্টোতে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন জনপ্রিয় গায়ক কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার দে। বর্তমানে টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এদিকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ছেলের দুর্ঘটনার খবর শুনেই স্ত্রী নাইমা সুলতানাকে নিয়ে কানাডায় গেছেন কুমার বিশ্বজিৎ। সপ্তাহ খানেক পর মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলের বর্তমান অবস্থা জানিয়েছেন এ গায়ক। পাশাপাশি নিবিড়ের বন্ধুদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। কুমার বিশ্বজিৎ লিখেছেন, জীবন কখনও কখনও অনেক বড় পরীক্ষার অন্য এক নাম। হঠাৎ আসা কোনো ঝড়ের মতো গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি কানাডার টরন্টো শহরে আমার একমাত্র সন্তান নিবিড় এবং তার তিন বন্ধু আরিয়ান দীপ্ত, শাহরিয়ার খান মাহির ও এঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈ এক সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয়। আরিয়ান, মাহির ও শ্রেয়া আমাদের সবাইকে ছেড়ে অন্য দুনিয়ায় চলে গেছে। নিবিড়ের মতোই বাকি তিনজনকে আমি আমার সন্তানই মনে করি। তারা আমার পরিবারেরই একটা অংশ। তাদের সবার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ছিল বন্ধুতুল্য। তিনি আরও লেখেন, আমি মেনে নিতে পারছি না, তারা নেই। সন্তান হিসেবেই তাদের স্মৃতি আমার হৃদয়ে থাকবে চিরজাগ্রত। আমি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি আর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাদের এই শোক সহ্য করার শক্তি দেন। আমি ঈশ্বরের কাছে আরও প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাকে ও আমার পরিবারের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে আমার নিবিড়কে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন। নিবিড় এখনও আইসিইউতে শয্যাশায়ী। এই গায়কের ভাষ্য, এই আকস্মিক ঘটনায় আমি মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত। আমি আমার সকল বন্ধু, পরিচিতজন এবং ভক্তবৃন্দের কাছে নিবিড়ের জন্য দোয়া/আশীর্বাদ কামনা করছি। আর যারা ইতোমধ্যে নিবিড়ের সুস্থতা কামনা এবং আমার পরিবারের এ দুঃসহ অবস্থা কাটিয়ে উঠার জন্য দোয়া/আশীর্বাদ করেছেন ও করছেন তাদের কাছে আমি চিরঋণী।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কানাডার স্থানীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় টরন্টোর ৪২৭ সাউথ বাউন্ড হাইওয়ে ডানডাস এক্সিটে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন নিবিড়। গাড়িটি খুব দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিলেন তিনি। এক হাইওয়ে থেকে আরেক হাইওয়েতে ওঠার সময় টার্ন নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় হাইওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে আগুন ধরে। এ সময় নিবিড়ের সঙ্গে থাকা তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় টরন্টোতে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোক বিরাজ করছে।