কাগজ অনলাইন ডেস্ক: গণঅংশগ্রহণের মাধ্যমে অবিলম্বে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ, জলবায়ু বাজেট প্রণয়ন এবং জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিলের স্বচ্ছতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বাংলাদেশ (এনসিসিবি)।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাজেট পেশের পর বিগত কয়েক দিনে একাধিক নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আলোচনা-সমালোচনাসহ বিভিন্ন দাবি পেশ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাজেট প্রতিক্রিয়া ও দাবি পেশ করে এনসিসিবি।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বাংলাদেশ আয়োজিত ‘২০১৬-১৭ বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।

অবিলম্বে গণঅংশগ্রহণের ভিত্তিতে ‘রোডম্যাপ ফর ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান’ অনুযায়ী জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে ২০১৮ সালের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিসিসিএসএপি (২০০৯)’র পুনর্মূল্যায়ন ও সময়োপযোগী করতে হবে। এ জন্য সকল মন্ত্রণালয়, জনপ্রতিনিধি, সংসদীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ, নাগরিক সমাজ ও জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্তদের অংশগ্রহণে নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর তালিকা সংযুক্ত করতে হবে।

গ্রিনট্যাক্স প্রবর্তন করে বিদ্যুৎ গ্যাস পানির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, দূষণকারী যানবাহন, বিমান ভ্রমণ ও বিমানে মালামাল পরিবহনের উপর কর ধার্য করতে হবে।

জলবায়ু অর্থায়নকে একটি তহবিল থেকে পরিচালনার জন্য জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিলকে আরো কার্যকরী ও দক্ষ করতে প্রস্তাবিত বাজেট সংশোধন করে এ তহবিলে কমপক্ষে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, কোস্টাল ডেভোলপমেন্ট পার্টনারশিপের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর হাসান, এনসিসিবি’র কো-অর্ডিনেটর মিজানুর রহমান বিজয় ও এনসিসিবি’র গাজী মনজুরুল আলম প্রমুখ।