আজকের দিন তারিখ ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হলে অর্থনীতি গতিশীল হবে: সিএমসিসিআই

জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হলে অর্থনীতি গতিশীল হবে: সিএমসিসিআই


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২, ২০১৬ , ৮:৩১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


10কাগজ অনলাইন ডেস্ক: প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ অর্জন করা গেলে সামগ্রিকভাবে অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি খলিলুর রহমান।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সিএসসিসিআই সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, বিশ্ব মন্দা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সব চেয়ে বড় ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার সাহসী বাজেট বড় উপহার।

তবে রাজস্ব ঘাটতি ৯২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা আরও কমানো গেলে ভালো হতো বলে মনে করছেন তিনি।

বাজেট প্রস্তাবনায় সরকারি কর্মকর্তাদের আয়করসহ নতুন করদাতা সৃষ্টির প্রয়াস অবশ্যই প্রশংসনীয়। তা না হলে বর্তমান কর প্রদানকারীর উপরই চাপ অব্যাহত থাকবে। বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সুষ্ঠ শিল্পায়নের স্বার্থে এলএনজি আমদানীসহ জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ দিক।

ব্যক্তিগত করদাতাদের করমুক্ত আয় সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বর্ধিত করে ৩ লাখ টাকা করা হলে ভাল হতো উল্লেখ কওে তিনি বলেন, ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায়ের পরিবর্তে আগের মতই ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত স্থানীয় শিল্প প্রসার অব্যাহত রাখতে সহায়ক হবে। তবে আমদানি করা এবং স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত পণ্যের বেলায় কোন কোন ক্ষেত্রে একই হারে রাজস্ব ছাড় যুক্তিযুক্ত নয়।

কৃষি ভিত্তিক স্থানীয় শিল্প সুরক্ষা আরও জোরদার করা হলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সুযোগ আরও প্রসারিত হবে এবং চাল আমদানিতে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি, কৃষি বান্ধব বাজেট হিসেবেই বিবেচিত বলে মনে করছেন খলিলুর রহমান।

তিনি বলেন, রফতানি পোষাক শিল্পের ফায়ার ডোর, এল ই ডি বাল্ব, এল ই ডি প্যানেল, স্প্রীংক্যাল, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা, শুল্ক হার হ্রাস করায় পোষাক শিল্প খাত কমপ্লয়েন্স বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।

অতীতের মতো রফতানিমুখি পোশাক শিল্পখাতে ১০ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব দিয়ে উৎস কর শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ পুনরায় নির্ধারণের অনুরোধ জানান তিনি।

যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে এবং যানজট কমে আসবে, ফলে জনগন উপকৃত হবে উল্লেখ করে সিএমসিআই সভাপতি বলেন, বিড়ি-সিগারেট’র উপর কর বৃদ্ধির প্রস্তাব সময়োপযোগী।