জেমি ডে’র সঙ্গে নতুন চুক্তির ব্যাপারে জানা যাবে আগামী সপ্তাহে
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৫, ২০২০ , ৮:৪২ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস
দিনের শেষে ডেস্ক : বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে নতুন চুক্তির সর্বশেষ অবস্থা কি? প্রশ্ন করতেই লন্ডন থেকে কোচ জেমি ডে’র জবাব, ‘আলোচনা চলছে।’ এই আলোচনা আসলে ত্রিপক্ষীয়-বাফুফে, জেমি ও এজেন্ট। আগামী সপ্তাহেই এই আলোচনার ইতি টেনে একটা সিদ্ধান্তে উপণীত হবে বাফুফে ও জেমি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাঈম সোহাগ জানিয়েছেন, ‘এজেন্ট আরো সপ্তাহখানেক সময় চেয়েছে।’ বাংলাদেশ ফুটবলের প্রধান কোচ ইংল্যান্ডের জেমি ডে’র সঙ্গে বাফুফের চুক্তির দ্বিতীয় বছরের মেয়াদ শেষ হবে ১৫ মে। ২০১৮ সালে প্রথম তিনি বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এক বছর পর আবার চুক্তি বাড়িয়েছে দুই পক্ষ। তৃতীয় মেয়াদে এ ইংলিশম্যানের সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে চায় বাফুফে। কোচ জেমি ডেও বাংলাদেশে আরো কাজ করতে ইচ্ছুক। মানসিকভাবে দুই পক্ষই সম্মত। এখন সবশর্ত মিললেই আবার ফিরে আসবেন জামাল ভূঁইয়াদের কোচ। করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরনের ফুটবল এখন বন্ধ। কবে জাতীয় দলের কার্যক্রম শুরু হবে তাও অনিশ্চিত। যে কারণে জেমি ডে-কে নতুন করে নিয়োগ দিলেও একটা শর্ত দিয়েছে বাফুফে। সে শর্ত নতুন চুক্তির কার্যকাল শুরু হবে ১৬ আগস্ট থেকে। কারণ, এই তিন মাসে কোনো ফুটবল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। একজন কোচকে বসিয়ে বেতন দেয়ারও মানে নেই। ‘আমরা কোচকে যে প্রস্তাবনাগুলো দিয়েছি তার চূড়ান্ত জবাব পাইনি এখনো। মেইল চালাচালি হচ্ছে। এজেন্টের সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছে। তারা কোচ সপ্তাহের সময় চেয়েছে। আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে ফিডব্যাক পেয়ে যাবো। তিনি সম্মত থাকলে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনগুলো আমরা ঠিক করে নেবো’- বলেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাঈম সোহাগ। জেমি ডে যদি বাফুফের শর্ত মেনে ১৬ আগস্ট থেকে নতুন চুক্তি করেন তাহলে তাকে ৩ মাস কাজ ছাড়াই থাকতে হবে। তবে এ সময়ে তিনি কোনো কাজ করলে তা নিয়ে বাফুফের কোনো আপত্তি থাকবে না বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক, ‘আমাদের কোনো খেলা নেই। তাই তিন মাস বসিয়ে বেতন দিতে পারবো না। তবে এই তিন মাস জেমি যদি অন্য কোনো কাজ করতে চান করতে পারবেন।’ নতুন চুক্তি না হলেও আরও দেড় সপ্তাহ বাংলাদেশ ফুটবলের প্রধান কোচ এই ইংরেজ। তাই ছুটিতে থাকার পরও লন্ডন বসে হোয়াটঅ্যাপ গ্রূপের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের ফিজিক্যাল ফিটনেস ধরে রাখার টিপস দিয়ে যাচ্ছেন। ‘আমি খেলোয়াড়দের নিয়মিত যোগাযোগের মধ্যে রাখছি। প্রতি সপ্তাহে ওদের ফিটনেসের অবস্থা, খাওয়ার রুটিন সব চেক করছি। অডিও ও ভিডিও দুইভাবেই তাদের ফিকিক্যাল অবস্থার খোঁজ রাখছি’-বলছিলেন জেমি ডে।