টাঙ্গাইলে ‘হিরো আলম’: দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৯, ২০২১ , ১২:২৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা আসন্ন। সে উপলক্ষ্যে খামারিরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দেশব্যাপী প্রতিদিনই বিশাল আকারের গরুর খবর প্রকাশ হচ্ছে গণমাধ্যমে। কালো মানিক, চেয়ারম্যান, বস, রাজা মিয়া আরো কত নামের গরু! এবার জানা গেল – কোরবানির হাট মাতাতে প্রস্তুত হচ্ছে টাঙ্গাইলের এক প্রবাসীর ৩১ মণ ওজনের ষাঁড়। যার নাম রাখা হয়েছে ‘হিরো আলম’। হিরো আলম সারাদেশে একটি আলোচিত-সমালোচিত নাম। মিউজিক ভিডিও, সিনেমা ও বর্তমানে বিভিন্ন দেশের ভাষায় গান গেয়ে তুমুল আলোচিত তিনি। তার নামেই নিজের এই প্রিয় ষাঁড়ের নাম ‘হিরো আলম’রেখেছে এর মালিক জয়নব বেগম। ষাড়টি এখন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বটতলা গ্রামের প্রবাসী কামরুজ্জামানের খামারে যত্নে লালন করা হচ্ছে। এটি মূলত ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। বয়স প্রায় ৪ বছর, লম্বায় সাড়ে ৮ ফুট। এর উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। এই ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। হিরো আলমের নামে ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক জনতা কামরুজ্জামানের খামারে ভিড় করছেন। প্রবাসী কামরুজ্জামানের স্ত্রী জয়নব বেগম জানান, প্রায় দেড় বছর আগে পাবনা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে ষাঁড়টি কেনেন তিনি। এরপর একে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে পরম যত্নে লালন-পালন করেছেন। তার খামারের এই ষাঁড়টি দেলদুয়ার উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি করেন জয়নব বেগম। ষাড়ের এমন নামকরণের সম্পর্কে জয়নব বলেন, নামের জনপ্রিয়তার ভিত্তিতেই এ নামকরণ। অনেকেই তো গরুর নাম শাকিব খান, ডিপজল, সুলতান, সিনবাদ, মানিক, রতন, রাজা-বাদশা, খোকাবাবু ইত্যাদি রাখে। আমিও তাদের মতো আমার গরুর নাম রেখেছি হিরো আলম। অনেক আগে থেকেই গরু লালন-পালন করেন কামরুজ্জামান ও তার স্ত্রী জয়নব বেগম। গত কোরবানি ঈদেও বিশাল আকারের গরু রাজধানীর গাবতলীতে বিক্রি করেছেন তারা।
এ বিষয়ে কামরুজ্জামান বলেন, গরু লালন-পালন করতে আমার খুব ভালো লাগে। প্রবাসে যাওয়ার আগে আমি নিজেই গরুর খামার করেছিলাম। আমি প্রবাসে থাকায় স্ত্রীকে দিয়ে প্রতি বছর কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য একাধিক গরু পালন করি। গত বছর বিক্রি করা ষাঁড়টির নাম ছিল ‘সোনা বাবু’। সেটির ওজন ছিল প্রায় ৩৫ মণ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এনায়েত করিম বলেন, ‘দেলদুয়ারের ‘হিরো আলম’এলাকা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই লকডাউনেও একে দেখতে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ। ষাঁড়টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড়। হিরো আলম বিক্রিতে আমরাও জয়নব বেগমকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব।’