টুঙ্গিপাড়ায় স্কুল ফিডিংয়ের বিস্কুট রাস্তায় : প্রধান শিক্ষককে শোকজ
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৫, ২০২০ , ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
গোপালগঞ্জ (টুঙ্গিপাড়ায়) প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্কুল ফিডিংয়ের বিস্কুট মিলেছে রাস্তায়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে কৈফিয়ত তলব (শোকজ) করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। সোমবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দ কিশোর সাহা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর বন্যাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নন্দলাল মন্ডলের বিরুদ্ধে স্কুল ফিডিংয়ের বিস্কুট আত্মসাত, বিদ্যালয়ে সরকার প্রদত্ত দুইটি ল্যাপটপের একটি ল্যাপটপ নিজের ছেলের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মারধর, ভুয়া ছাত্রছাত্রী দেখিয়ে উপবৃত্তি উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে জেলা শিক্ষা অফিসে এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে কৈফিয়ত দিতে বলা হয়েছে। গোপালপুরের ইউপি মেম্বর অপূর্ব রায় জানান, গত বুধবার প্রধান শিক্ষক নন্দলাল তার নাতিকে দিয়ে স্কুল থেকে স্কুল ফিডিংয়ের সরকারি বিস্কুট বাড়িতে পাচার করছিলেন। এটি স্থানীয়রা টের পেয়ে নাতিকে আটক করে। একপর্যায়ে নাতি মিত্রডাঙ্গা বাজারের সড়কে ওপর বিস্কুট ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তারা বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জানান। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা ঘটনা স্থলে এসে বিষয়টির সত্যতা পান। পরে তারা তদন্ত করে জানতে পারেন, সরকার প্রদত্ত দুইটি ল্যাপটপের একটি ল্যাপটপ নন্দলালের ছেলে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মারধর, ভুয়া ছাত্রছাত্রী দেখিয়ে উপবৃত্তি উত্তোলন করছেন। এ ব্যাপারে কৈফিয়ত তলব করার পর নন্দলাল স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে আবেদন দিয়েছেন । তিনি এ ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নন্দলাল মন্ডলের স্ত্রী বিস্কুট আত্মসাতের কথা স্বীকার করে মোবাইলে বলেন, তিনি (নন্দলাল) আর চাকরি করবেন না। এজন্য স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়ার আবেদন করেছেন। প্রধান শিক্ষক নন্দলালের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহসিন রেজা বলেন, প্রধান শিক্ষক নন্দলালের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে নোটিশটি পাওয়ার পর তিনি সেচ্ছায় অবসর নেওয়ার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসে আবেদন করেছেন।