তামিমের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে সুপার লিগে আবাহনী
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৬, ২০১৬ , ৬:১৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস,স্পোর্টস লীড
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: তামিম ইকবালের ঝড়ো সেঞ্চুরির সুবাদে ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে আবাহনী লিমিটেড। সোমবার সাভারের বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ক্রিকেট কোচিং স্কুলকে (সিসিএস)। এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগের খেলা নিশ্চিত করলো তামিমের আবাহনী। প্রিমিয়ার ক্রিকেটের সুপার সিক্সে ওঠা আগেই নিশ্চিত করে রেখেছিল প্রাইম দোলেশ্বর, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব ও লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। বাকী তিনটি দলের জন্য সোমবার মাঠের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় ছয়টি দল। শেষ পর্যন্ত চতুর্থ দল হিসেবে সেরা ছয়ে নাম লেখালো আবাহনী।
সোমবার সকালে প্রথম দফায় ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২০৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ক্রিকেট কোচিং স্কুল (সিসিএস)। ম্যাচের মধ্যাহ্ন বিরতির সময় বিকেএসপিতে বৃষ্টি নামে। পরে বৃষ্টি থামলে আবাহনীর সামনে জয়ের নতুন টার্গেট দেয়া হয় ৩৫ ওভারে ১৬৮ রানের। জবাবে ২৬.৪ ওভারে মাত্র ১টি উইকেট হারিয়ে জয়ের তীরে তরি ভেড়ায় আবাহনী। উভয় দলের এদিন ছিলো লিগের ১১তম ম্যাচ। এগারো ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে উঠেছে আবাহনী। অপরদিকে সমসংখ্যক খেলা থেকে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম পর্বের খেলা শেষ করলো সিসিএস।
সোমবার সকালে আবাহনীর অধিনায়ক তামিম ইকবাল টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। আর টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজিন সালেহর ৯৫ ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ফিফটিতে (৫০ রান) ভর করে ৫০ ওভারে ২০৫ রান করে সিসিএস। যদিও এদিন বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট পর শুরু হয় ম্যাচটি। দলীয় ১৬ রান তুলতেই পিনাক ঘোষ রানে ও সাইফ হাসান ৯ রানে আউট হয়ে যান। সিসিএসের শুরুর এই দুটি উইকেটই তুলে নেন আবুল হাসান রাজু।
পরে দলীয় ৪৬ রানে সালমান হোসেনকে ব্যক্তিগত ১৬ রানে ফিরিয়ে তৃতীয় আঘাতটি হানেন সাকিব আল হাসান। চতুর্থ উইকেটে ওপেনার রাজিন সালেহর সঙ্গে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ১২৩ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামলে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান তারা। ১৩৫ বলে ৯৫ রান করে স্পিনার অমিত কুমারের বল কাট করতে গিয়ে বোল্ড হন রাজিন।
রাজিন সালের বিদায়ের পর আবারো ভেঙে পড়ে সিসিএসের ব্যাটিং লাইনআপ। সাইফুদ্দিন এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অপর প্রান্ত থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে। এমনকি শেষ ৩৬ রানে ৭ উইকেট হারায় দলটি। সাইফুদ্দিন অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ৫০ রান করে। আবাহনীর পক্ষে সাকিব ৩৫ রান খরচায় তুলে নেন ৩টি উইকেট। এ ছাড়া তাসকিন আহমেদ, আবুল হাসান রাজু ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত পান ২টি করে উইকেট।
২০৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৬২ রান তোলার পর শুরু হয় বৃষ্টি। প্রায় দেড় ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। বৃষ্টির থামার পর ৩৫ ওভারে ১৬৮ রানের টার্গেট দেয়া হয় আবাহনীকে। তামিম ইকবালের অপরাজিত সেঞ্চুরি (১০৫) আর নাজমুল হোসেন শান্তর হাফ সেঞ্চুরিতে (৫৩) ২৬.৪ ওভারে এক উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় আবাহনী। যদিও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার আর নিজের প্রথম ওভারে ইউসুফ পাঠানকে (৮) ফেরান সিসিএসের নাজমুস সাকিব।
কিন্তু পরে শান্তকে নিয়ে জয়ে মূল্যবান ১৬০ রানের হার না মানা এক জুটি গড়েন তামিম। এদিন আবাহনীর অধিনায়ক ৮৬ বলে ১০৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। ১১টি চার ও ৪টি ছক্কায় তামিম তার ইনিংসটি সাজান। সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে তামিম খেলেন ৮৩ বলে। অথচ হাফ সেঞ্চুরি করতে খেলেন ৫৬ বল। পরের ৫০ রান আসে মাত্র ২৭ বলে। ফলে তামিমের ঝড়ো ব্যাটিং আবাহনীকে এনে দেয় আত্মবিশ্বাসী এক জয়। ম্যাচসেরা হয়েছেন আবাহনীর অধিনায়ক তামিমই।