দাবি: অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন কার্যকর
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ২১, ২০২০ , ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : মারণভাইরাস করোনা প্রতিরোধে অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিন চ্যাডক্স-১ এনকোভ-১৯ নিরাপদ এবং করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক বলে দাবি করা হয়েছে। দীর্ঘ তিন মাস ধরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর পর মানবদেহে এটির কার্যকারিতা প্রমাণ পেলো। সোমবার বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত প্রথম ধাপের পরীক্ষার ফলে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রথম ধাপে ব্রিটেনে এক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে করোনার এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল। মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ধাপ এটি। এই পরীক্ষার ফল আজ প্রকাশ করেছে অক্সফোর্ড।
আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে দেয়ার জন্য ভ্যাকসিনটি যথেষ্ঠ নিরাপদ কিনা সেটি জানাই ছিল প্রথম ধাপের পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য। ভ্যাকসিনটি প্রয়োগে শরীরে তৈরি হওয়া প্রতিরোধ ব্যবস্থা বৃদ্ধি করতে পারে বলে প্রথম ধাপের পরীক্ষার ফলে জানানো হয়েছে।
প্রথম ধাপের ফল আজ প্রকাশিত হলেও অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনটির তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলে ৪২ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে পরীক্ষার ফল পেতে আরো অপেক্ষা করতে হবে। ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে ১০ হাজার মানুষের দেহে তা প্রয়োগ করবে অক্সফোর্ড। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার ও ব্রাজিলে ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে ভ্যাকসিনটি দেয়া হবে।
ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে অক্সফোর্ড। অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, চলতি বছরের শেষ দিকে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতার ব্যাপারে তারা চূড়ান্ত তথ্য-উপাত্ত পাবেন বলে আশা করছেন।
ট্রায়ালের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে প্রায় ১,০৭৭ মানুষের ওপর পরীক্ষার পর দেখা গেছে, এই টিকার ইনজেকশন তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি এবং হোয়াইট ব্লাড সেল বা শ্বেতকণিকা তৈরি করে, যা শরীরের ভেতর করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
একে একটি বড় রকমের প্রতিশ্রুতিশীল আবিষ্কার হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। তবে এটি পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারবে কি-না, তা বলার সময় এখনও আসেনি। এ নিয়ে ব্যাপক আকারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও চলছে। যুক্তরাজ্য এর মধ্যেই ১০ কোটি টিকার জন্য চাহিদা জানিয়েছে।