‘দায়সারাহীন’ প্রতিবেদন দেবে প্রশাসন
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৮, ২০১৬ , ১২:৩৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবসের ঘটনায় বুধবার (৮ জুন) আদালতে একটি ‘দায়সারাহীন’ সুনির্দিষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেবে প্রশাসন।
এর আগে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছিল। সে প্রতিবেদনের মন্তব্যে আদালত বলেছিলেন, ‘প্রতিবেদনটি দায়সারা গোছের’।
৮ জুনের মধ্যে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন আদালত। এরপরও কোনো দায়সারা প্রতিবেদন দেয়া হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সতর্ক করেন হাইকোর্ট।
পরবর্তীতে ৮ জুন প্রশাসনকে এ ঘটনায় ‘লাঞ্ছনাকারী’ সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ‘যথাযথ’ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আজ আবার শুনানির জন্য দিন ধার্য আছে।
গত ১৩ মে ধর্ম নিয়ে কটুক্তি এবং শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দির পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে গণপিটুনি দেয়ার পর কান ধরে উঠবস করানো হয়।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তের কথা বলা হলেও স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে এবং নির্দেশে এ শিক্ষককে হেনস্তা করা হয়।
তবে এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন বলছে, এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো সত্যতাই পায়নি তারা।
শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে কান ধরে উঠবস করার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা হয়। গত ১৮ মে বিষয়টি নজরে আনা হলে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল দেন আদালত। এ বিষয়ে প্রশাসন কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে জানতে চাওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বন্দর থানার ওসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার দিন মাইকিং করে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে একটা বিভেদ তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রশাসনের প্রতিবেদনে এ ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা সুস্পষ্ট নয় বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত। আবারও দায়সারা প্রতিবেদন দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান আদালত।
আদেশে আদালত বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনা এবং মাইকিং করে অপপ্রচারসহ পুরো ঘটনা একটি অপরাধমূলক কাজ হলেও, এক্ষেত্রে যে সাধারণ ডায়েরিটি করা হয়েছে, সেখানে ধারা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি।