দেশে করোনায় মৃত্যু ক্রমেই বাড়ছে, মোট ৭৫
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১৭, ২০২০ , ২:২৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : দেশের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বোচ্চ ১৫ জন মারা গেছেন। করোনাভাইরাসে একদিনে এটাই সবোর্চ্চ সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৬৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৮৩৮ জনে। মারা গেছেন মোট ৭৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯ জন। এ নিয়ে মোট ৫৮ জন সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন। দেশে প্রথম ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে প্রায় ৫০০ রোগীকে। তাদের মধ্যে ২৭ জন রোগীকে আইসিইউ সেবা দেয়া হয়েছে। যা মোট আক্রান্তের ১.৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ২,১৯০ জনের নমুনা সংগ্রহের করা হয়। এরমধ্যে ২৬৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। করোনাভাইরাসের এই নমুনা পরীক্ষা আগের চাইতে বাড়ানো হলেও এটা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে তিনি জানিয়েছেন যে রোগীরা টেস্ট করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন না। অনেকে আক্রান্ত জেনেও সেই তথ্য গোপন করছেন, যার কারণে অনেক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন বলে মন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এছাড়া ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় লকডাউন কার্যকরের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। বহুতল ভবনে যারা থাকেন তাদেরকে নিয়মিত আঙিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি লিফটের বাটন, সিড়ির হাতল, দরজার হাতল নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার পরামর্শ দেন। এদিকে আইইডিসিআর-এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩২ শতাংশ নারী। দেশের প্রায় ৪০টিরও বেশি জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ৪৬ শতাংশই ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া ২০ শতাংশ নারায়নগঞ্জের বাসিন্দা। ঢাকা মহানগরীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মিরপুর এলাকা, প্রায় ১১ শতাংশ। এছাড়া মোহাম্মদপুর, ওয়ারি এবং যাত্রাবাড়িতে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ শতাংশ করে। উত্তরা এবং ধানমন্ডিতে ৩ শতাংশ করে। অন্যদিকে, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, এবং মুন্সিগঞ্জে আক্রান্তের সংখ্যাও আগের চাইতে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মিসেস ফ্লোরা। এ পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ২১ শতাংশের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। ১৯ শতাংশের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে এবং ১৫ শতাংশের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। ফ্লোরা বলেছেন যে, যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৬৮% বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিয়েছেন। ৩২% চিকিৎসা নিয়েছেন হাসপাতালে। তবে তাদের সবার হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন ছিল না বলে তিনি উল্লেখ করেন। যারা বাড়িতেই চিকিৎসা নিতে পারতেন তারা নানা ধরণের সামাজিক চাপে পড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে তিনি জানান। দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা মিলিয়ে মোট আইসোলেশন বেডের সংখ্যা ৯০০০টি। সরকারি হাসপাতালের ২৫ হাজার বেড এবং বেসরকারি হাসপাতালের ১০০০টি বেড করোনারোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।- স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য দিয়েছেন। এদিকে গত ২৬শে মার্চ থেকে গৃহবন্দি অবস্থায় অনেকেই মানসিক চাপে ভুগছেন, তাদের কথা মাথায় রেখে গণমাধ্যমে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচারের আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।