দেশে ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু শিশুদের
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ৬, ২০২১ , ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : ২৯ মাস থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যেও ক্যান্সারজনিত মৃত্যুহার বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, দেশে শিশুস্বাস্থ্যে বড় এক সংকট হয়ে দেখা দিয়েছে ক্যান্সার। দেশী-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার গবেষণায় এ তথ্য জানা যায়।
সম্প্রতি দেশে শিশুমৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে ৪০টি জেলায় এক জরিপ চালায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। জরিপে পাওয়া ফলাফল প্রকাশ হয়েছে ‘ডিটারমিনেশন অব কজেজ অব ডেথস বাই ভারবাল অটোপসি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে। আনুপাতিক হার বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে এখন শিশুমৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে উঠেছে ক্যান্সার।
যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে আরেকটি গবেষণা চালায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) দুজন বিশেষজ্ঞ এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ‘চাইল্ডহুড ক্যান্সার: এ সিচুয়েশন অ্যানালাইসিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ, বাংলাদেশ পারসপেক্টিভ’ শীর্ষক ওই গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে প্রতি বছর ৯-১২ হাজার শিশু-কিশোর ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।
প্রকৃতপক্ষে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, আক্রান্ত শিশু ক্যান্সার নির্ণয় বা চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে আসার পরই তাদের তথ্য জানা সম্ভব হয়। এর বাইরেও অনেক শিশু-কিশোর বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় বা অপচিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ক্যান্সারের মূল কারণ হচ্ছে জিনগত পরিবর্তন। এছাড়া ভেজাল খাদ্য, খাদ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার, বায়ুদূষণ ও বিকিরণের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে শিশুদের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। শিশুদের মধ্যে ব্লাড ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব বেশি। এছাড়া ব্রেন, কিডনি, কোলন, লিভার ও হাড়ের ক্যান্সারেও আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
প্রাদুর্ভাব বাড়লেও শিশু ক্যান্সারের চিকিৎসায় এখনো অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। বড়দের ক্যান্সার চিকিৎসার যতটুকু সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়, শিশুদের ক্ষেত্রে তার একভাগও নেই।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, করোনা মহামারিতে ক্যান্সার চিকিৎসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক সময় রোগীরা করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ছে, এতেও তাদের ঝুঁকি বাড়ছে। অনেক সময় রোগীর সঙ্গে যারা আসছে তাদেরও করোনা সংক্রমিত হয়ে পড়ার ভয় থেকে যায়।