দেশের সবচেয়ে বড় আইপিও: ৫২৩ কোটি টাকা নেবে রবি
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০ , ৩:০১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে আসার অনুমোদন পেল মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে প্রায় ৫২ কোটি ৩৮ লাখ শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ৫২৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি।
এক্ষেত্রে প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। কোনো প্রিমিয়াম ছাড়া এই দামেই শেয়ার পাবে বিনিয়োগকারীরা। এরমধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নেবে ৩৮৭ কোটি টাকা এবং কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে নেবে ১৩৬ কোটি টাকা। এটিই হল দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ আইপিও। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় বুধবার এ অনুমোদন দেয়া হয়। কোম্পানির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে রয়েছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারে মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে গ্রামীণফোনের পর দ্বিতীয় কোম্পানি হতে যাচ্ছে রবি।
এ ব্যাপারে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান বলেন, পুঁজিবাজার থেকে নেয়া তহবিল কোম্পানির তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ আইপিওর অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ার কোম্পানি আজিয়াটা “রবি’র ৬৮ দশমিক ৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক। চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুরে মূল কোম্পানি আজিয়াটা গ্রুপের বোর্ড সভায় রবিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমতি দেয়া হয়। পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার এক্সচেঞ্জে এ বিষয়ে ঘোষণা দেয় কোম্পানিটি। এরপরই বাংলাদেশের বাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করে তারা। এক্ষেত্রে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ছাড়ার অনুমতি দেয়া হয়, যা কোম্পানির মূল শেয়ারের ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এরমধ্যে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়া হবে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দেয়া হবে ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ শেয়ার। কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের সর্বশেষ সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৬৪ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি (ইপিএস) ৪ পয়সা। পাঁচ বছরের গড় ইপিএস দশমিক ১৩ পয়সা। কোম্পানি সূত্র জানায়, বর্তমানে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ৪৫ শতাংশ কর্পোরেট ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে ১০ শতাংশ কর ছাড় রয়েছে। আর এই কর ছাড়ের জন্যই তারা পুঁজিবাজারে
আসছে। কোম্পানিটি দাবি করছে, মোবাইলে গ্রাহকের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তারা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির গ্রাহক ৪ কোটি ৭৩ লাখ, যা দেশের মোট সক্রিয় মোবাইল সংযোগের প্রায় ৩০ শতাংশ।