আজকের দিন তারিখ ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ধর্ম ও জীবন নামাজের সময় টুপি পরিধানের গুরুত্ব

নামাজের সময় টুপি পরিধানের গুরুত্ব


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২, ২০১৬ , ৭:৩৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: ধর্ম ও জীবন


8কাগজ অনলাইন ডেস্ক: টুপি মুসলিম উম্মাহর জাতীয় নিদর্শন। ইসলামের পরিভাষায় জাতীয় নিদর্শনকে ‘শিয়ার’ বলা হয়। টুপি হজরত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে পরেছেন, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেইন, তাবে-তাবেইন এবং পরবর্তী সময়ে সব যুগে মুসলিমগণের টুপি পরিধানের ব্যাপক আমলের ধারাবাহিকতা চলে আসছে। পাগড়ির মতো টুপিও মুসলিম জাতীয় পোশাকের একটি উৎকৃষ্ট পোশাক। হাদিস ও আ-ছারে এর অসংখ্য প্রমাণ বিদ্যমান। -যাদুল মায়াদ: ১/১৩৫

তাই নামাজেও এই পোশাক পরিধান করা সুন্নত। মহান আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা নামাজের সময় তোমাদের সর্বোৎকৃষ্ট পোশাক পরিধান করো।’ -সুরা আরাফ: ৩১

তাফসিরে রূহুল মাআনিতে এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, হজরত হাসান ইবনে আলী (রা.) নামাজের সময় সর্বোৎকৃষ্ট পোশাক পরিধান করতেন, একদিন কেউ তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা সুন্দর। তিনি সুন্দরকে পছন্দ করেন। তাই আমি আমার প্রভুর জন্য সুন্দর পোশাক পরিধান করি। -রূহুল মাআনি: ৪/৩৪৯

হাদিসে হজরত হাসান বসরি (রহ.)-এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, সাহাবায়ে কেরাম (রা.) গরমের দিনে নামাজে পাগড়ি বা টুপির ওপর সিজদা করতেন। -সহিহ বোখারি: ১/৮৬

হজরত যুহাইর (রহ.) বলেন, আমি প্রখ্যাত তাবেই আবু ইসহাক আসসাবিয়ীকে দেখেছি, তিনি আমাদের নিয়ে নামাজ পড়ছেন। তিনি মাটি থেকে টুপি উঠিয়ে মাথায় পরছেন। -তাবাকাতে ইবনে সাদ: ৬/৩১৪

ইমাম মালেক (রহ.) সম্পর্কেও অনুরূপ বর্ণনা পাওয়া যায়। -আল জামে; খতিব বাগদাদি: ১/৩৮৮

তাই ইসলামি স্কলাররা নামাজে টুপি পরিধান করা সুন্নত বলেছেন এবং অবহেলা করে টুপি পরিধান না করে নামাজ পড়াকে মাকরূহ বলেছেন, যদিও নামাজ আদায় হয়ে যাবে। – ফতোয়ায়ে কাজিখান: ১/১৩৫, রদ্দুল মুহতার: ১/৬৪০

নামাজ পড়া অবস্থায় টুপি মাথা থেকে পড়ে গেলে তা আবার মাথায় উঠিয়ে নেওয়া উত্তম। -রদ্দুল মুহতার: ১/৬৪০

তবে নিয়ম হলো, টুপি মাথায় উঠাতে এক হাত ব্যবহার করবে, তাহলে নামাজে কোনো সমস্যা হবে না, কিন্তু টুপি উঠাতে দুই হাত ব্যবহার করলে আমলে কাছির হয়ে যাবে, তাতে নামাজ ভেঙ্গে যাবে। -রদ্দুল মুহতার: ১/৫৮৪, আহসানুল ফতোয়া: ৩/৪২০