নাসিক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতার মামলা
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৯, ২০২০ , ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : স্বামী ও সহযোগীসহ নাসিক নারী কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফ হোসেন অর্ণব ভাঙচুরের অভিযোগে মামলাটি করেন। মামলায় দিনাসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় ২৫/৩০ জনকে। মামলায় নাসিক ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফ হাসান অর্নব উল্লেখ করেন, আয়শা আক্তার দিনার সঙ্গে তার খালা রাশিদা বেগমের পারিবারিক কোন্দলের বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে ধরে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে দিনা। গত ১৬ জুন বিকালে আমরা আয়শা আক্তার দিনা’র দায়েরকৃত অভিযোগের প্রতিবাদ করার জন্য সাংবাদ সম্মেল করি। এ কারণে ১৬ জুন রাত পৌনে ৮টায় আয়শা আক্তার দিনা ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদীদের নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের তাঁতখানা বৌ-বাজারস্থ ছাত্রলীগের কার্যালয়ে হামলা করে। তারা প্রতিবাদ করতে গেলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল, অনিক ও রকিবুল হাসান’কে মারপিট করে জখম করে বলে উল্লেখ করা হয় মামলায়। এদিকে মঙ্গলবার রাতে আরিফ হাসান অর্ণব তার ফেইসবুক আইডিতে একটি ভিডিও আপ করে যাতে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ছবি একটি টেবিলে ভাঙচুর করা অবস্থায় দেখানো হয়েছে। কিন্তু মামলায় এ ব্যাপারে কিছুই উল্লেখ করেনি মামলার বাদী আরিফ হাসান অর্ণব। তবে নারী কাউন্সিলর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অপর এক ভিডিওতে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সাংবাদিক এবং নারায়ণগঞ্জবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। দিনার অভিযোগ, তাকে ফাঁসানোর জন্য ছাত্রলীগের কর্মীরা নিজেরাই তাদের অফিস ভাঙচুর করেছে। তিনি আরও বলেন, কোনো রাজনৈতিক নেতাকর্মী নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম তৈরি করিনি। আমি সামাজিক লোক নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম তৈরি করেছি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে কাউন্সিলর দিনা বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি চক্র আমার পিছু নিয়েছে। সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ থাকবে আপনারা সত্যটা তুলে ধরুন। ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের অফিস ভাঙচুর করে আমার ছেলেদের নাম দিচ্ছে। আমার ছেলেরা এখন ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি যে ঘরে বসে ত্রাণসামগ্রী প্যাকেট করি, সেই ঘরে ছাত্রলীগের কর্মীরা এসে ভাঙচুর করেছে। আমি সামাজিকভাবে ভালো কাজ করায় একটি চক্রের হিংসা হচ্ছে। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ফারুক জানান, ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি দুলাল (৫০) ও আমান উল্যাহকে (৫০) গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতার করা হবে।