আজকের দিন তারিখ ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
রাজনীতি ‘নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে’

‘নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে’


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৪, ২০২৩ , ৫:৩৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি


দিনের শেষে প্রতিবেদক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এই বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন হবে। সে নির্বাচন অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে দুদু বলেন, আপনি এবং আপনার দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করবেন কিনা তা ভেবে দেখতে পারেন। কিন্তু আপনার অধীনে এ দেশে ভবিষ্যতে আর কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না। বৃহস্পতিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে  মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি আয়োজন করে ইয়ুথ ফোরাম।

এ সময় দুদু বলেন, প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ভয় পান। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ঠেকানোর জন্য বিদেশ সফর শুরু করেছেন। কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না। দেশ ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতীয় সংসদ থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। কোনো পেশাজীবী সংগঠনের নির্বাচনই স্বাভাবিকভাবে হয় না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, মানুষের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। কেউ প্রাণ খুলে সত্যি কথা বলতে পারছেন না। সরকারের মতের বাইরে কোনো পত্রিকা বা টিভি নাই।  শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সরকার বলছে, বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি- যে টাকার কথা বলা হয়েছে সেই টাকা বিদেশ থেকে এতিমের টাকা হিসেবে আসেনি। জিয়ার নামে প্রতিষ্ঠান করার জন্য কুয়েতি সরকার টাকা দিয়েছিল। সেই টাকা এখন ব্যাংকে কয়েকগুণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, রাজনীতিবীদসহ সরকারের মিডিয়া এই টাকার মিথ্যা খবর জাতি ও বিশ্ববাসীকে দিয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৬-১৭ বছর ধরে বাধ্য হয়ে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আইন করে তার দেশে ফেরার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।  তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, তারেক রহমানের স্ত্রী হওয়ার কারণে মেধাবী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। শুধু মামলা নয়, এমন কোনো কুৎসা নাই যা সরকারের লোকজন তার বিরুদ্ধে করে নাই।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, সেই আইনটা আপনার পরিবর্তন করেছেন। ৯০ এর গণভোটের মাধ্যমে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছিল দেশের মানুষ। প্রয়োজনে আবারও গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এদেশের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। এ ব্যাপারে কোনো আপোস নাই বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।   তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বলছে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করবে না। কিন্তু তারা কি নিশ্চিত যে, বিএনপি তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে? বিএনপির পক্ষ থেকে কে, কখন, কোথায় বলেছেন, সরকারের সঙ্গে বিএনপি আলোচনা করবে? শুধু বিএনপি নয়, কোন বিরোধী দলই এখন আর প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করে না, তাই তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না।

বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে জনগণের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। দেশে গণতন্ত্র নাই, ভোটাধিকার নাই, মানুষের বাক স্বাধীনতা নাই। বিরোধী দলকে নিশ্চিহৃ করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।

বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগাঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয়াতাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি আমির হোসেন বাদশা, মৎসজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, দেশ বাঁচাও-মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন। সঞ্চলনায় ছিলেন শরিফুল ইসলাম শরিফ।