আজকের দিন তারিখ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বিনোদন নয়া ‘তামাশা’, বাজে মন্তব্য আর ডিসলাইকের সাগরে ভাসছেন নোবেল!

নয়া ‘তামাশা’, বাজে মন্তব্য আর ডিসলাইকের সাগরে ভাসছেন নোবেল!


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৮, ২০২০ , ৪:২৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: বিনোদন


দিনের শেষে প্রতিবেদক : যা নিয়ে এত ‘তামাশা’, সে গানের ভাগ্যে ডিসলাইকের বন্যা! ইউটিউবে প্রমোশনের জন্য ‘স্পন্সর’ করে ভিউ বাড়ানো যায়, কিন্তু ‘মন্তব্য’, ‘লাইক’ বা ‘ডিসলাইক’ বাড়ানো অসম্ভব! এ কারণেই দেখা যায় বিতর্কিত কনটেন্টগুলোর ভাগ্যে ‘ডিসলাইক’ পড়ে বেশি, মন্তব্যের ঘরে মেলে ঠাট্টা কিংবা গালমন্দ! এমনটাই দেখা গেল দেশের কিংবদন্তি শিল্পীদের বিভিন্ন জনপ্রিয় গান এর ‘কাভার’ করে জনপ্রিয়তা পাওয়া উঠতি গায়ক নোবেল। তার আরেক পরিচয় তিনি জি-বাংলা রিয়েলিটি শো সারেগামা’র প্রতিযোগী। মূলত এই প্লাটফর্মটি নোবেলকে বেশি করে পরিচিত দিয়েছে। নানা কারণে সমালোচিত এ গায়কের তৃতীয় মৌলিক গান ‘তামাশা’ প্রকাশ পেয়েছে গতকাল ৭ জুন ।

নোবেল গানটির ভিডিও বানিয়ে তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত করেছেন। তবে যে গানের জন্য বাংলাদেশ-ভারতব্যাপী বিতর্ক তৈরী করলেন নোবেল, সেই গান প্রকাশের কয়েক ঘন্টা পার না হতেই নজীরবিহীনভাবে ডিসলাইক পড়ছে! ডিসলাইক ছাড়াও নোবেলের এ গানে হাজারও ‘বাজে’ মন্তব্য দিচ্ছেন দর্শক। সংগীত সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করছেন, এমন নজির নিকট অতীতের কোনো গানে নেই! ডিসলাইকে ২০১৮ সালে প্রকাশিত চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ার কণ্ঠে আলোচিত গান ‘পটাকা’র রেকর্ডও ছাড়িয়ে যেতে পারে! কিন্তু কেন নোবেলের এ গানটি নিয়ে এতো অপছন্দ? এর জবাব দিয়েছেন সমালোচনাকারীরাই। ফেসবুকেও সংগীত সংশ্লিষ্ট মানুষেরাই এর সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।

তাদের অধিকাংশই বলছেন, তামাশা গানটি হিট করার জন্য নোবেল কদিন আগে যে বাজে পলিসি নিয়েছিলেন, তা ছিল একেবারেই ভুল। ‘তামাশা’ গানটির প্রমোশন করতে গিয়ে দেশের লিজেন্ডারি সংগীত ব্যক্তিত্বদের ছোট করেছেন। এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়েও উপহাস করেছেন নোবেল। যা মোটেও মেনে নিতে পারছে না বাংলা গানের শ্রোতারা। এতে করে শুধু বাংলাদেশের দর্শক নয়, ভারতের নোবেল রোষানলে পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। নোবেলের এই তামাশা গানের মডেল তারই স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল। গানের কথা ও সুর করেছেন কৌশিক জিহান, আয়োজনে টিম নোবেল। মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেন নাজমূল হাসান। এদিকে নোবেলের এ গানটিতে লাইকের চেয়ে যেমন ডিসলাইক বেশি, তেমনি কয়েক হাজার মন্তব্যও ছিল অশালীন।