পরিচিত জিরার অজানা ৭ গুণ
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৮, ২০১৬ , ৮:১৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: লাইফ স্টাইল
কাগজ অনলাইন ডেস্ক: খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ বৃদ্ধিতে জিরার বিকল্প নেই। কয়েক দানা জিরা খাবারের স্বাদ পরিবর্তন করে দেয় বহুগুণ। রান্নায় ব্যবহৃত এই জিরার রয়েছে নানা ঔষধি গুণ। জিরার ঔষধি গুণের কারণে ঘরোয়া এবং হারবাল ওষুধে জিরা ব্যবহার হতে দেখা যায়। রান্নায় নিয়মিত জিরা ব্যবহারে সমাধান পাওয়া যাবে শরীরের নানা সমস্যার।
১। হজমশক্তি বৃদ্ধি
এক চা চামচ জিরা এক গ্লাস পানিতে সিদ্ধ করে নিন। পানি বাদামী রং হয়ে আসলে চুলা বন্ধ করুন। ঠান্ডা হলে এটি পান করুন। এই পানীয়টি দিনে তিনবার পান করুন। এটি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং পেট ব্যথা কমিয়ে দেবে। জিরার ঔষধি গুণাবলী হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
২। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে
কিছু পরিমাণে জিরা তাওয়াতে বাদামী রং না হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন। ঠান্ডা হলে জিরা গুঁড়ো করুন। এক গ্লাস পানি অথবা মধুর সাথে জিরার গুঁড়ো মিশিয়ে খালি পেটে খান। এছাড়া খালি পেটে জিরা চা পান করতে পারেন। নিয়মিত পানে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে দেয়।
৩। ক্যান্সার প্রতিরোধে
Cancer Research Laboratory of Hilton Head Island, South Carolina, USA এক গবেষণায় দেখছে যে, জিরার উপাদানসমূহ ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রতিদিনকার খাবারে জিরা ব্যবহার করুন।
৪। অনিদ্রা দূর করতে
যারা অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন জিরা তাদের জন্য মহৌষধ। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক কাপ জিরার চা পান করে নিন। পানিতে জিরা ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এর সাথে রাখুন কলা। দেখবেন খুব সহজে ঘুম চলে এসেছে।
৫। অ্যাজমা এবং ঠান্ডা দূর করতে
দুই কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ জিরা এবং একটি আদা কুচি দিয়ে জ্বাল দিন। এটি জ্বাল হয়ে আসলে ঠান্ডা করে এটি পান করুন। এটি আপনার ঠান্ডা, গলা ব্যথা দূর করে দেবে। এমনকি অ্যাজমা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
৬। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
জিরা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে বিশেষ সহায়তা করে। এতে করে ডায়বেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৭। রক্তস্বল্পতা দূর করতে
জিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অর্থাৎ লোহিত রক্ত কণিকা বাড়ায়। এতে করে দূর হয় রক্তস্বল্পতার সমস্যা।