আজকের দিন তারিখ ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস/////, জাতীয় পরিবেশ ছাড়পত্র পায়নি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: বনমন্ত্রী

পরিবেশ ছাড়পত্র পায়নি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: বনমন্ত্রী


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৯, ২০১৬ , ১:২১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////,জাতীয়


Ramplকাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: সুন্দরবনের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জানিয়েছেন, এখনও ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।

বৃহস্পতিবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “রামপালে নির্মিতব্য খুলনা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য এখনও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোনো পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া হয় নাই।”

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্প হিসেবে ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে।

‘মৈত্রী সুপার থারমাল’ নামের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবনের ইউনেস্কো ঘোষিত হেরিটেজ অংশ থেকে ৬৯ কিলোমিটার এবং সুন্দরবনের প্রান্তসীমা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের প্রাকৃতিক প্রতিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে দাবি করে তার বিরোধিতা করছে বিভিন্ন সংগঠন।

ওই আশঙ্কা নাকচ করে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সুন্দরবনের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।

জাতীয় পার্টির এ কে এম মাঈদুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “ই‌আইএ প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত মিটিগেশন মেজার্স যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।”

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না দাবি করে তিনি বলেন, “এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হলে স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং সুন্দরবনের ওপর স্থানীয় মানুষের নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে।”

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সুন্দরবনে চার দফা অগ্নিকাণ্ডে পরিবেশসহ লতাগুল্মের ক্ষতি হয়েছে। চার দফার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। ভবিষ্যতে এ ধরনের ক্ষতি যাতে না হয় তার জন্য নানাবিধ কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে সংরক্ষিত আসনের সদস্য পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং এ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশসহ মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

“একাত্তরের অত্যাচারী ‍খুনি গণহত্যাকারীদের পক্ষে কথা বললেও তাদের বিরুদ্ধে একই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে আইন প্রনয়ণের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া প্রতিটি সরকারই বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃতি করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ফজিলাতুন নেসা বাপ্পীর এ সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কথা, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক ও কটাক্ষকারীদের আইনের আওতায় এনে ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’ দেওয়ার বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।