পাটের বান্ডিলে ২৯০ কেজি ইলিশ পাচার হচ্ছিল ভারতে
পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩ , ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
দিনের শেষে ডেস্ক : বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে পাচার হয়ে আসা ৩২৫ কেজি পদ্মার ইলিশ উদ্ধার করল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ ঘটনায় পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধভাবে ইলিশ পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম নিতাই মণ্ডল। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গি থানা এলাকার বাসিন্দা দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে ৮ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি মাহিন্দ্রার বিএসএফ সদস্যরা এ বিপুল পরিমাণ ইলিশ জব্দ করে ও পাচারকারীতে পুলিশে সোপর্দ করে। জব্দ হওয়া ইলিশের ভারতীয় মুদ্রায় বাজারমূল্য ৫ লাখ ২০ হাজার রুপির বেশি। তারা জানিয়েছে, দুই ধাপে উদ্ধার হয়েছে মোট ৩২৫ কেজি পদ্মার ইলিশ। প্রথমে নৌকায় পাটের বান্ডিলের ভেতর পাওয়া যায় ২৯০ কেজি। অপর স্থান থেকে মিলেছে ৩৫ কেজি ইলিশ। জানা যায়, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) অন্যান্য দিনের মতো মুর্শিদাবাদের মাথাভাঙা নদীর সীমান্ত এলাকায় স্পিড বোটে টহল দিচ্ছিলেন বিএসএফ সদস্যরা। স্থানীয় সময় বিকেল ৩ টার দিকে তাদের চোখে পড়ে একজন মাঝি বাংলাদেশ সীমানা থেকে কাঁচা পাটের বান্ডিল বোঝাই করা নৌকা নিয়ে আসছেন। তার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ব্যক্তিটির কথায় একাধিক অসঙ্গতি মিললে তার সঙ্গে থাকা পাটের মধ্যে কী আছে, দেখতে চায় বাহিনী। সার্চ করে পাটের বোঝাইয়ের মধ্যে থরে থরে সাজানো ১৬টি প্লাস্টিকের বস্তায় উদ্ধার হয় পদ্মার ইলিশ। প্রতি ইলিশের আনুমানিক ওজন প্রায় এক কেজি। সব মিলিয়ে ১৬টি বস্তায় উদ্ধার হয় ২৯০ কেজি ইলিশ। বিএসএফের দাবি, মাছগুলো পদ্মা নদী থেকে ধরা। সেটা পাচার হয়ে আসছিল পশ্চিমবঙ্গে। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার নিতাই জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে চারজন তার হাতে এক হাজার রুপি দিয়ে তাকে বলেছিল, ওই পাটের বান্ডিল নদী পেরিয়ে ভারতে নিয়ে যেতে। এবং সীমান্ত পেরিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার তালতলী গ্রামের বাপন মণ্ডলের কাছে হস্তান্তর করতে। তিনি সেই অনুযায়ী কাজ করেছেন। পাটের বান্ডিলের ভেতরে মাছ আছে, তা তার জানা ছিল না বলে বিএসএফকে জানিয়েছে নিতাই। অপরদিকে, অন্য একটি ঘটনায়, বর্ডার পোস্ট ফারজিপাড়া, অ্যাডহোক -১০ কোরের সীমান্তরক্ষী সদস্যরা তাদের দায়িত্বের এলাকা থেকে ৩৫ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করেছে। এনিয়ে বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি একে আর্য বলেছেন, এক সপ্তাহে দুটি ইলিশ পাচারের ঘটনা রুখে দিল বিএসএফ। বাংলাদেশ থেকে মাছের এই বিশাল মাছের চালান ভারতে আনার চেষ্টা করছিল চোরাকারবারিরা। চোরাচালান ঠেকাতে আমরা বদ্ধপরিকর আমরা।