প্রতিটি আন্দোলনে কবিদের অবদান অনেক : প্রধানমন্ত্রী
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ৩:১৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে কবি ও আবৃত্তিকারদের অবদান অনেক বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি একজন রাজনীতিবিদ, বক্তৃতা দিয়ে বেড়াই কিন্তু আমার মনে হয়, কথা বলার চেয়ে, একটা কবিতা, একটা নাটক, সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছানো যায়।’ আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার যে সংগ্রাম শুরু হয়েছিল সেই সংগ্রামের পুরোধা ছিলেন মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছাত্রলীগ নামে সংগঠন গড়ে তোলেন এবং তখনকার অন্যান্য ছাত্র সংগঠনসহ সবাইকে নিয়ে তিনি ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলেন। আন্দোলনের ডাক দেন। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ প্রথম ধর্মঘট। সেই ধর্মঘটে শেখ মুজিব তখনকার ছাত্র নেতাসহ অনেকে গ্রেপ্তার হন। সেই থেকে আমাদের সংগ্রাম শুরু।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আজকের যে স্বাধীনতা অর্জন এবং জাতির পিতার যে ঐতিহাসিক ভাষণ, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ সে এক অমর কবিতা। এই কবিতা অর্জন হয়েছে সেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে। এর মধ্যে অনেক চড়াই-উৎড়াই পার হতে হয়। রবীন্দ্র সাহিত্য বাতিল করা হলো, রবীন্দ্র সংগীত বাতিল করা হলো। বাংলা ভাষাকে বাংলা অক্ষরে লেখা না, কখনো আরবি শব্দে লেখার, কখনো ল্যাটিন শব্দে লেখা-এ রকম আঘাত আমাদের ওপর বারবার এসেছে। বাঙালি থেমে থাকেনি, এর প্রতিবাদ করেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার যা কিছু দিয়ে গেছেন সেটা আমাদের সম্পদ। নীল দর্পন নাটকের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন যেভাবে এগিয়ে গিয়েছিল বা একটি কবিতার শক্তি যে কত বেশি সেটা তো আমরা নিজেরাই জানি।’ এসময় পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনুষ্ঠানে সশরীরে যেতে পারলে ভালো লাগতো। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আমার যাতায়াত সীমিত। এছাড়া একটু পরই সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আবৃত্তি উৎসব আয়োজন করায় আমি অনেক আনন্দিত। আমি নিজেও এমন উৎসবে বহুবার গিয়েছি। পেছনের সারিতে বসেছি।’