আজকের দিন তারিখ ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// প্রধানমন্ত্রীর আগমনে ময়মনসিংহে উৎসবের আমেজ

প্রধানমন্ত্রীর আগমনে ময়মনসিংহে উৎসবের আমেজ


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ১১, ২০২৩ , ৩:২৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : পাঁচ বছর পর আজ শনিবার (১১ মার্চ) চতুর্থবারের মতো ময়মনসিংহ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে নগরজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। এদিন দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ বিভাগ ও জেলার ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং ৩০টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। একইসঙ্গে বেলা ৩টায় সার্কিট হাউজ মাঠে ময়মনসিংহ মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন। জনসভায় প্রায় ১৫ লাখ লোক সমাগম ঘটানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নৌকার পক্ষে ভোট চাইবেন। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে ব্যানার, পোস্টার আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সার্কিট হাউজ ময়দানের জনসভাস্থলসহ ময়মনসিংহ নগরীর প্রতিটি সড়ক ও পাড়া-মহল্লা। বর্ণিল আলোকসজ্জা ও রঙতুলির আঁচড়ে সজ্জিত হয়েছে নগরী। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থক ছাড়াও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ ময়দানের নির্বাচনি জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় নেতাকর্মীদের আনতে আটটি বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঐ দিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে ময়মনসিংহ থেকে আটটি রেলপথে বিশেষ এসব ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ময়মনসিংহ পাটগুদাম ব্রিজ মোড় থেকে সভাস্থলে এসেছে নারীদের একটি দল। তাদের বাড়ি জেলার তারাকান্দার বিসকা গ্রামে। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখার জন্য এসেছি। গরিব মানুষের জন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যা দিয়েছেন তা অতুলনীয়। এমন সরকার বারবার দরকার। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘দেশের সার্বিক খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়নে দেশবাসীর কাছে আস্থা অর্জন করেছেন শেখ হাসিনা। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহকে বিভাগসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে বদলে দিয়েছেন। আর এ কৃতজ্ঞতা থেকেই দলীয় সভাপতিকে স্বাগত জানাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আশা করছি, জনসভায় ১৫ লাখ লোকের সমাগম ঘটতে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার আগমনে এই অঞ্চলের সাংগঠনিক অবস্থা আরও শক্তিশালী হবে এবং নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা হবে। যা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী যে দিকনির্দেশনা দেবেন তা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবো, যা আমাদের দলকে সুসংগঠিত করা এবং আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
শনিবার সকাল থেকে সভামঞ্চে চলছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ি থেকে নেমে নেতাকর্মীরা হেঁটে মিছিল নিয়ে সভাস্থলের দিকে যাচ্ছেন। ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহাম্মদ ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাদা পোশাকের গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তার খাতিরে প্রায় তিন হাজার পুলিশ সদস্য রাখা হয়েছে। জেলা পুলিশের পাশাপাশি বাইরের জেলা থেকেও পুলিশ সদস্য আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ মঞ্চের প্রথম সারিতে নিরাপত্তায় থাকবে এপিবিএন। ট্রাফিকের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার প্রশ্নে আমরা কোনো ছাড় দেবো না।’