আজকের দিন তারিখ ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় খুশি পোলট্রি-ডেইরি খামারিরা

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় খুশি পোলট্রি-ডেইরি খামারিরা


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ৭, ২০২০ , ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


অর্থবাণিজ্য প্রতিবেদক : করোনার প্রভাবে দেশের পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পে যে ক্ষতিসাধন হয়েছে সে ক্ষতি পূরণের লক্ষ্যে এ শিল্পের মালিকদের প্রণোদনা দেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণায় এ শিল্পের মালিকরা উচ্ছ্বসিত হয়েছেন। তারা বলছেন, এটা ভালো একটা খবর। করোনায় ব্যাপকহারে ক্ষতি হওয়ার পর ডেইরি এবং পোল্ট্রি শিল্পের মালিকরা চরমভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পোল্ট্রি, ডেইরি ও মৎস্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে করোনার প্রভাবের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা প্রণোদনা পারেন। ভবিষ্যতে ব্যবসা চালাতে তাদের কোনো অসুবিধা হবে না। ৯ ভাগ হারে ঋণ পাবেন। এই ঋণের সুদ ৪.৫ ভাগ সরকার এবং ৪.৫ ভাগ মালিকপক্ষ বহন করবে। সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের ডেইরি ও দুগ্ধখামারি পরিচালক আবদুস সামাদ ফকির বলেন, সরকার যে প্রণোদনা দিয়েছে বা সাড়ে ৪ ভাগ হারে যে ঋণ দেয়ার কথা বলছে তা মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন হলে খামারিরা খুশি হবে। এছাড়া আমরা যে পণ্য উৎপাদন করছি তা ঠিকমতো বাজারজাতকরণ করতে পারলে খামারিরা লাভবান হবে। শেরপুর জেলার ডেইরি খামারি তৌহিদুর রহমান পাপ্পু বলেন, খামারিরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী খামারিদের যে সুযোগ দিতে চেয়েছেন সে সুযোগ পেলে খামারিরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ চাই না। ন্যূনতমভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ চাই। সরকারিভাবেই যদি কিছু দুধ বিক্রির সুযোগ করে দেয়া হয়, কিছু মিষ্টির দোকান পর্যায়ক্রমে খোলা রাখা, গো-খাদ্যের দোকান খোলা রাখার ব্যবস্থা করলে আমরা বেঁচে থাকতে পারব, ঘুরে দাঁড়াতে পারব। বগুড়ার খামারি হবিবর রহমান (হবি) বলেন, গরু কেনার জন্য কম সুদে ঋণ দিলে খুশি হবে খামারিরা। কারণ করোনার কারণে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকারের সহায়তা ছাড়া ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব না। শেরপুর জেলার তুষার পোল্ট্রির মালিক সেলিনা পারভিন বলেন, ঋণ ছাড়া আর ব্যবসা চালু করার মতো কোনো শক্তি নেই। সরকার যদি আমাদের কম সুদে ঋণ দেয় বা প্রণোদনা দেয় তাহলে আমরা কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারব। সেলিনা বলেন, এবার প্রায় ১৫ লাখ টাকা লস হয়েছে। এর আগেও একটি কোম্পানির ভ্যাকসিন দেয়ার কারণে সব মুরগি মারা গেছে। তখন লস হয়েছে ২০ লাখ টাকা। এখন আর ব্যবসা করার মতো কোনো পয়সা নেই। উল্লেখ্য, করোনার কারণে পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পে প্রায় দুই হাজার ৬২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে পোল্ট্রি শিল্পে এক হাজার ১৫০ কোটি টাকা এবং ডেইরি শিল্পে ৯১২ কোটি টাকা। পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার প্রভাব অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। ফলে দেশের অনেক খামারির টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। গত ১৬ দিনের একটি হিসাব ধরে এই ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে।