প্রায় সব ভোগ্যপণ্যের দাম কমছে
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২, ২০২০ , ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে ডেস্ক : চাহিদার বিপরীতে বাড়তি পণ্য সরবরাহের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট কমায় দেশের বাজারে অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। পেঁয়াজ-রসুন ও সব ধরনের ডালের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। তবে বুকিং রেট কমলেও ডিও ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম।
ঈদের কারণে চাহিদা বাড়তি থাকায় গত সপ্তাহেও আদা-রসুন এবং পেঁয়াজের বাজার ছিলো বেশ অস্থির। কিন্তু ঈদ মৌসুম শেষ হওয়ার পাশাপাশি লকডাউন উঠে যাওয়ায় এসব পণ্যের সরবরাহও বেড়েছে। পেঁয়াজের কেজি এখন ২০ টাকা। আর রসুন ৮০ এবং আদা ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাজী স্টোর মালিক জাবেদ ইকবাল বলেন, প্রচুর আমদানি আছে, বাজারে কোন সংকট নেই। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে বুকিং রেট কমায় দেশের বাজারে কমেছে সব ধরণের ডালের দাম। মশুর এবং মুগডালের দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ২০ টাকা করে।
মেসার্স তৈয়বিয়া ট্রেডার্স পরিচালক সোলেয়মান বাদশা বলেন, প্রত্যেকটা ডালের দামই কম। এছাড়া মশলারও সব দাম কম। আন্তর্জাতিক বাজারেও দাম কমেছে।
তবে ভোজ্য তেলের বাজার আবারো পড়েছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে। বুকিং রেট কমলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরণের ভোজ্য তেলের দাম প্রতি মনে বেড়েছে একশ থেকে দেড়শ টাকা। মেসার্স আব্বাসীয়া ট্রেডার্স ম্যানেজার জাফর আহমেদ বলেন, তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে।
লকডাউন উঠে যাওয়ায় বাজারে সরবরাহ বাড়ছে। তাই সব ধরণের ভোগ্য পণ্যের দাম আরো কমবে বলে আশা ব্যবসায়ী নেতার।
চাকতাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, সব ভোগ্যপণ্যের দাম কমেছে। আশা করে যাচ্ছে আরো কমে যাবে।
বাংলাদেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার পুরোপুরি আমদানি নির্ভর। তাই লকডাউনের সময় চট্টগ্রাম বন্দর পুরোপুরি সচল ছিলো।