ফাঁসির আগে ক্ষমা চেয়ে কাঁদলেন দুই ধর্ষক
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ৫, ২০২১ , ১১:০১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
এর আগে শেষবারের মতো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির সঙ্গে শনিবার সকালে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করেন তার পরিবার। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এমনকি ধর্ষণ মামলার দুই আসামি কালু ও আজিজুল সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে কাঁদতে থাকেন। এদিকে, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিনকান্তি খান সোমবার রাতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের জানান, দণ্ডপ্রাপ্তদের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
চুয়াডাঙ্গা আদালত সূত্র ও মামলার বিবরণীতে জানা যায়, আলমডাঙ্গা থানার জোড়গাছা হাজিরপাড়া গ্রামের কমেলা খাতুন এবং তার বান্ধবী ফিঙ্গে বেগমকে ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠে ধর্ষণ করার পর হত্যা করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা কাটা হয় ওই দুই নারীর। হত্যার পরদিনই আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত কমেলার মেয়ে নারগিস বেগম। মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুই জনসহ চারজনকে আসামি করা হয়। এরমধ্যে মামলা বিচারাধীন অবস্থায় মারা যান আসামি মহি ও আপিল বিভাগে চলতি বছর সুজনকে খালাস দেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত সুজন, আজিজ ও মিন্টুর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এরপর আসামিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করেন। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে ২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ দুই আসামির রায় বহাল রাখেন এবং অপর আসামি সুজনকে খালাস দেন। গত ২০ জুলাই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান সুজন। মত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে তাও নামঞ্জুর হয়।