বন্ধের সময় শ্রমিকেরা ৬৫ শতাংশ মজুরি পাবেন
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৫, ২০২০ , ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : সরকার-মালিক-শ্রমিকপক্ষের সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে পোশাকশ্রমিকদের এপ্রিল মাসের মজুরি বাড়ল ৫ শতাংশ। তাতে করোনার কারণে গত এপ্রিলে কারখানা বন্ধের সময় শ্রমিকেরা ৬৫ শতাংশ মজুরি পাবেন। তবে বাড়তি ৫ শতাংশ অর্থ চলতি মে মাসের মজুরির সঙ্গে সমন্বয় করার কথা বলেছেন পোশাকশিল্পের মালিকেরা। শ্রম ভবনে সোমবার অনুষ্ঠিত সরকার-মালিক-শ্রমিকপক্ষের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। এতে পোশাকশিল্পের মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সভাপতিদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শ্রমিক জোট ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের (আইবিসি) অধিভুক্ত শ্রমিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল পৌনে পাঁচটায় বৈঠক শেষ হয়। বৈঠক শেষে শ্রমিকনেতা আমিরুল হক আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইবিসির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত এপ্রিলে কারখানা বন্ধকালীন শ্রমিকদের ৬০ শতাংশ মজুরি দেওয়ার পূর্বের সিদ্ধান্তটি থেকে মালিকেরা সরে এসেছেন। তাঁরা এখন ৬০ শতাংশের পরিবর্তে ৬৫ শতাংশ মজুরি দেবেন। এ ছাড়া আমরা কারখানা লে-অফ প্রত্যাহার করা, শ্রমিক ছাঁটাই না করা ও ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবি করেছি। মালিকেরা সেটিও মেনে নিয়েছেন।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘৬০ শতাংশের পরিবর্তে ৬৫ শতাংশ মজুরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সেটি মে মাসের মজুরির সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। কারণ ইতিমধ্যে কারখানা বন্ধকালীন ৬০ শতাংশ মজুরি দিতে সব সদস্যকে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি। নতুন করে আবার সিদ্ধান্ত দিলে জটিলতা তৈরি হবে।’ সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক ও সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, আইবিসির চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম, মহাসচিব চায়না রহমান, শ্রমিকনেতা বাবুল আক্তার, নাজমা আক্তার, সালাউদ্দিন স্বপন প্রমুখ। গত ২৮ এপ্রিল সরকার-মালিক-শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়, এপ্রিল মাসে কারখানা বন্ধের সময়ে শ্রমিক-কর্মচারীরা মোট মজুরির ৬০ শতাংশ অর্থ পাবেন। আর যে কদিন কর্মদিবস ছিল সে কদিনের পূর্ণ মজুরি পাবেন তাঁরা। পরদিন কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে সেটি চূড়ান্ত করে শ্রম মন্ত্রণালয়।