বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর ভিড়

বরিশাল প্রতিনিধি : সারা দেশে ঘন কুশায়ার সঙ্গে চলছে শৈত্য প্রবাহ। এদিকে  বরিশালে তাপমাত্রা নেমে যাওয়া এবং তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। হাসপাতালে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার ৫ গুণ রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।  হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশু ওয়ার্ডের ধারণক্ষমতা ৩৬। তবে বর্তমানে ওই ওয়ার্ডে ১৫৪ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। যা ধারণক্ষমতার ৫ গুণ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মেঝেতে জায়গা না হওয়ায় ওয়ার্ডের সিঙ্গেল বেডে চার শিশুকে একসঙ্গে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভর্তি শিশুদের বেশিরভাগই নিউমোনিয়া আক্রান্ত।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি, তবে জায়গা সংকট থাকায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। তবে ২-১ দিনের মধ্যে এই সমস্যা থাকবে না। শিশু ওয়ার্ডের জন্য আরও ১০০ বেড চালুর প্রক্রিয়া চলছে বলেন তিনি।
এদিকে গত কয়েকদিন তীব্র শীতে বেশি সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। শুক্রবার দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মেলে। তবে রোদের তেমন উত্তাপ ছিল না।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল বলেন, শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল আবহাওয়া অফিস সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। আর চলতি মৌসুমে গত ২৪ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘তিন দিন বরিশালে এমন শীতের আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। মধ্যরাত থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র ঘন কুয়াশা দেখা দিতে পারে। ফলে আগামী তিন দিন নদীপথ ও তার চারপাশের এলাকাগুলোতে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া জানুয়ারি মাসের মধ্যভাগ বা শেষভাগে বরিশালে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে দেশের উত্তর অঞ্চল, মধ্য অঞ্চল ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীত বয়ে যাচ্ছে। তবে কোথাও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা না থাকলেও আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।