আজকের দিন তারিখ ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ওষুধ নিয়ে ‘অপপ্রচার’ চলছে

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ওষুধ নিয়ে ‘অপপ্রচার’ চলছে


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১৩, ২০২০ , ৭:২৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক : বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এই কাজে এখনও কেউ সফল হয়নি। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোভিড-১৯ রোগের এখনও কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। আর এর মধ্যেই ‘বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরি হচ্ছে’বলে ফেসবুকে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় কিছু সংবাদ মাধ্যমেও খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর করোনা থেকে পরিত্রাণ পেতে অনেকেই আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। এই অবস্থায় বাংলাদেশের ওষুধ অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বলেছে, তারা পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য কয়েকটি ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে ভুলভাবে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব মনে করেন, করোনাভাইরাসের ওষুধ নিয়ে এই অপপ্রচার উদ্দেশ্যমূলক। এর পেছনে কর্পোরেট বাণিজ্যিক স্বার্থ কাজ করছে বলেও মনে করেন স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্টরা। করোনাভাইরাস বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর এতে আক্রান্তদের চিকিৎসায় বিভিন্ন দেশে প্রচলিত কিছু ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে। যেমন- হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, ফ্যাভিপিরাভির ও রেমডেসিভি। এগুলোর পরীক্ষামূলক উৎপাদনের জন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন। আর এটা নিয়েই বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরি করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন শিরোনামে খবর ছড়িয়েছে। অনেকে এসব খবর অনেকেই তাদের ফেইসবুক ওয়ালে শেয়ার করছেন। একই সঙ্গে কোম্পানিগুলোকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন। এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, কয়েকটি দেশে করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে এসব ওষুধ ব্যবহার করে কিছুটা ফল পাওয়া গেছে। আমাদের পরীক্ষায়ও যদি ভালো ফলাফল আসে, তখন যেন আমাদের দেশে অ্যাভেইলেবল হয় তার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে কিছু কোম্পানিকে আমরা এসব ওষুধ তৈরির অনুমতি দিয়েছি। হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, ফ্যাভিপিরাভির ও রেমডেসিভি উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে স্কয়ার ফার্মা, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। তবে এই কোম্পানিগুলো এই ওষুধ উৎপাদন করে বাজারে বিপণন করতে পারবে না। সেগুলো তারা সরকারের কাছে জমা দেবে। যখন সরকারের প্রয়োজন হবে, তখন গাইডলাইন অনুসারে তা ব্যবহার হবে অথবা ট্রায়াল দেবে। মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, চিঠিতে সবগুলো কোম্পানিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে- এই ওষুধ করোনার রোগীর জন্য, এই দাবি কেউ করতে পারবে না। কিন্তু তারপরও উদ্দেশ্যমূলকভাবে করোনার ওষুধ তৈরি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেখানে করোনার ওষুধ আবিষ্কারের বিষয়ে এখনও ইতিবাচক কিছু বলেনি, সেখানে আগ বাড়িয়ে এ ধরনের কথা বলা তো অপপ্রচার। তাই এই মুহূর্তে আমাদের সবারই, বিশেষ করে সংবাদ মাধ্যমগুলোকে মাথায় রাখতে হবে, করোনাভাইরাসের কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। নেই কোনও প্রতিষেধক বা টিকাও। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরি নিয়ে যেসব খবর বেরিয়েছে সেগুলো সব মিথ্যা খবর বা ফেইক নিউজ। তাই এসব ভুয়া সংবাদ না ছড়ানোই সবার জন্য মঙ্গল।