বাউফলে দু’মাস ধরে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ না দিয়ে এসএমএসে বিল পরিশোধের তাগিদে বিড়ম্বনায় গ্রাহক
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৯, ২০২০ , ৯:১১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : এসএমএসে বিল পরিশোধের তাগিদে বিড়ম্বনায় পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) বাউফল জোনাল অফিসের আওতায় থাকা হাজারো গ্রাহক। করোনা পরিস্থিতির লকডাউনের এই মানবিক বিপর্যয়ে অধিকাংশের দাবি বিল মওকুফের। গ্রাহকরা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে বাউফল জোনাল অফিস থেকে বরাবরের মতো মার্চ-এপ্রিল এই দুই মাসের বিদ্যুৎ বিলের কোন কাগজ পাননি তারা। আবার সরকারি স্থগিতাদেশের কারণে বিল পরিশোধের চেস্টাও করেননি অনেকে। কিন্তু ‘বিলের কাগজ না পেলেও’ উল্লেখ করে বিকাশ অথবা টেলিটক সিমের মাধ্যমে পূর্বের এ্যাকাউন্ট নম্বরে মার্চ-এপ্রিলের বিল পরিশোধের তাগিদে পল্লী বিদ্যুতের ০১৫৩৫৪৩৯০৬৪ মোবাইল নম্বরের অনুকুলে পাঠানো এসএমএসে বিপাকে পড়েছেন অনেক গ্রাহক। উপজেলার ধানদী, পূর্ব-কালাইয়া, নওমালা, ধুলিয়া ও বাংলাবাজার এলাকার মমতাজ বেগম, রাশিদা খানম, ইউসুফ সেন্টু, আব্দুল গনি সিকদার, তোফাজ্জেল হোসেন নামে কয়েকজন গ্রাহক জানান, বাউফলের অধিকাংশ গ্রাহক বিকাশে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে অভ্যস্ত নয়। অফিস থেকে মার্চ-এপ্রিলের বিলের কাগজ দেওয়া হয়নি।লকডাউনের কারণে সরকারি স্থাগিতাদেশ। তদুপরি বিলের কাগজ না পেলেও উল্লেখ করে টেলিটক সিম অথবা বিকাশে বিল পরিশোধের দাগিতে গ্রাহকের মোবাইলে পাঠানো এসএমএস বিড়ম্বনায় পড়েছেন তারা। লকডাউনের এ সময়ের পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেকেরই বিল পরিশোধের সামর্থ নেই। বিলের কাগজ না পাঠিয়ে এসএমএসে বিল পরিশোধের তাগিদ আর জরিমানার ভয়ে কেউ আবার বরাবরের মতো পল্লী বিদ্যুতের চুক্তির আওতায় থাকা কৃষি ব্যাংকসহ কয়েক ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় জমা দিতে গিয়ে বিলের কাগজ না থাকায় ব্যার্থ হয়েছেন। অধিকাংশ এলাকায় বন্ধ রয়েছে বিকাশের দোকানও। লাভ হচ্ছে না বিকাশ এজেন্টদের কাছে ধরণা দিয়েও। অনেকে আবার এসএমএসে উল্লেখিত সর্বশেষ তারিখেও বিল জমা দিতে না পাড়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে কি না তা নিয়েও শঙ্কিত। বাসায় না গিয়ে অফিসে বসে মুখস্ত বিল করার অভিযোগ তুলে করোনা পরিস্থিতির মানবিক বিপর্যয় কালিন লকডাউনে থাকা বাউফলের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল মওকুফের দাবি অধিকাংশ গ্রাহকের। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন কেউ কেউ। স্বাস্থ্য বিভাগের অবসর প্রাপ্ত একজন সরকারি কর্মকর্তা পূর্ব-কালাইয়া গ্রামের ডা. রাশিদা খানম নামে একজন গ্রাহক বলেন, ‘করোনার মতো এই দূর্যোগের সময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু গাছের পাতা নড়লে বিদ্যুৎ থাকে না বাউফলে এমন বদনাম আছে। জোনাল অফিসে অভিযোগে যারা বসেন তাদেরও শালিন ভাষাজ্ঞান নেই। অনেকের সঙ্গে দুব্র্যবহার করেন। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘণ ঘটবে এখন এসএমএস দিয়ে এমন কোন কাজে গ্রাহকদের বাধ্য করা কিংবা বিড়ম্বনায় ফেলা উচিৎ নয়। লকডাউনের এ সময় র্দূদশাগ্রস্থ্য বাউফলের সব গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করা উচিৎ।’ এ ব্যাপারে বাউফল জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আবুল কালাম আজাদের মোবাইলফোনে (০১৭৬৯৪০০২৪৬) স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি।