বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যু: স্মৃতিচারণে শোকে কাতর রুনা লায়লা
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২ , ৩:১০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: বিনোদন
দিনের শেষে ডেস্ক : ভারতীয় কিংবদন্তি গায়ক বাপ্পি লাহিড়ি। হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে মুম্বাইয়ের জুহুরের এক হাসপাতালে। তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যু উপমহাদেশের সংগীতে শোক নামিয়েছে। বাংলাদেশেও বাপ্পি লাহিড়ি কাজ করেছেন। এখানেও আছে তার অনেক ভক্ত-অনুরাগী। দেশের কিংবদন্তি গায়িকা রুনা লায়লার সঙ্গেও কাজ করেছেন বাপ্পি লাহিড়ি। দুজনের মধ্যে ছিল পারিবারিক সম্পর্কও। দেখা হয়েছে বহুবার। আছে বহু গল্প।
আজ বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যুতেই সেইসব গল্পই স্মৃতিচারণে তুলে আনলেন রুনা লায়লা। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘১৯৭৯ সালে প্রকাশ কাপুর পরিচালিত বলিউডের ‘জান-এ-বাহার’ ছবিতে বাপ্পি লাহিড়ির সুর-সংগীতে একটি গান গেয়েছিলেন রুনা। ‘মার গায়ো রে রসগোল্লা খিলাই কে মার গায়ো রে’ নামের গানটিতে মোহাম্মদ রফি ও আনন্দ কুমারও কণ্ঠ দেন। এছাড়াও ১৯৮৪ সালে বাপ্পি লাহিড়ীর সুর-সংগীতে আরেকটি হিন্দি গান গেয়েছেন রুনা লায়লা। দাসারি নারায়ণ রাও পরিচালিত ‘ইয়াদগার’ ছবিতে ইন্দিবারের লেখা ও বাপ্পি লাহিড়ির সুরে সেই গানের শিরোনাম ‘অ্যায় দিলওয়ালে আও’। এ গানের সঙ্গে অভিনয় করেন কমল হাসান ও পুনম ধিলন।
বাপ্পি লাহিড়িকে বাপ্পিজি বলে ডাকেন রুনা। স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর কলকাতায় জন্মদিন উদযাপন করেছিলাম আমার। সেদিন গ্র্যান্ড ওবেরয় হোটেলে উপস্থিত হয়ে আমাকে চমকে দেন বাপ্পিজি। আলমগীর সাহেবও (নায়ক আলমগীর) আমার সঙ্গে ছিলেন। আমরা উঠেছিলাম গ্র্যান্ড ওবেরয় হোটেলে। তখন একই হোটেলে সস্ত্রীক ছিলেন বাপ্পিজি। আমি আছি জেনে তিনি প্রথমে ফোনে শুভেচ্ছা জানান। তারপর ফুল ও কেক নিয়ে আমাদের কক্ষে হাজির হন স্ত্রী চিত্রানী লাহিড়িকে নিয়ে। চার জন মিলে কেক কেটেছি। জন্মদিনে তাকে এভাবে পেয়ে যাবো ভাবিনি। ঘটনাটা ছিল আমার জন্য চমক। কেক কাটার পর আমরা আড্ডা দিয়েছি। ‘সুপারুনা’র রেকর্ডিং নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছিলাম। সেটাই ছিল আমাদের শেষ দেখা।’
বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা জানিয়ে রুনা লায়লা বলেন, ‘বাপ্পিজি ছিলেন আমার বন্ধু। তিনি ছিলেন রসিক ও মজার মানুষ। একইসঙ্গে সবার প্রিয় ছিলেন। অসামান্য জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘সুপারুনা’ নিয়ে রুনা লায়লা বলেন, ‘১৯৮২ সালে এই পপ অ্যালবামটির রেকর্ডিং হয় লন্ডনের অ্যাবি রোড স্টুডিওতে। একসময়ের বিখ্যাত ব্যান্ড বিটলসের সদস্যরা সেখানেই তাদের গান রেকর্ড করতেন। বাপ্পিজির সঙ্গে সেই স্টুডিওতে রেকর্ডিংয়ের স্মৃতি চিরকাল মনে পড়বে। ‘সুপারুনা’ অ্যালবামটি প্রকাশের দিনেই এর ১ লাখ কপি বিক্রি হয়েছিল। এজন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইএমআই মিউজিক আমাকে উপহার হিসেবে গোল্ডেন ডিস্ক অ্যাওয়ার্ড দিয়েছিল।’