আজকের দিন তারিখ ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব বিক্ষোভের মুখে মিনিয়াপোলিস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ‘বিলুপ্তির’ ঘোষণা

বিক্ষোভের মুখে মিনিয়াপোলিস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ‘বিলুপ্তির’ ঘোষণা


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৮, ২০২০ , ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্যদের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। বর্ণবাদবিরোধী এই আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও। গণআন্দোলনের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এমপিডি) ‘বিলুপ্ত’ হতে যাচ্ছে। মিনিয়াপোলিসের পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেই জর্জ ফ্লয়েড হত্যার অভিযোগ। মিনিয়াপোলিস স্টার ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, শহর পুলিশের ৯ কাউন্সিল সদস্য রোববার আন্দোলনস্থল থেকে বিভাগের কার্যক্রম শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন। তারা সেখানে বলেছেন, ‘আমরা মিনিয়াপোলিস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এমপিডি) বিলুপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করব। ‘আমরা বুঝতে পারছি, পুলিশমুক্ত ভবিষ্যৎ কী হবে তার সব প্রশ্নের উত্তর আমাদের কাছে নেই। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেটি চান’– যোগ করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। লিখিত বক্তব্যে তারা আরও বলেন, ‘আপনাদের জন্য কী ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা আনা যায়, সেটি অলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে পুরো ডিপার্টমেন্ট ভেঙে দেয়ার কথা বলা হলেও স্থানীয় মেয়র জ্যাকব ফ্রে একদিন আগে জানান, সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হবে না। শনিবার তিনিও আন্দোলনস্থল থেকে এ কথা বলেন। তবে এই কথা বলে তিনি তোপের মুখে পড়েন। তবে পুলিশের কাউন্সিল সদস্যরা বিভাগ ভেঙে দেয়ার বিষয়ে একমত, ‘এটি আমাদের প্রতিশ্রুতি। জননিরাপত্তাবিষয়ক পদ্ধতির প্রতিক্রিয়া এটি।’ কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশ বিভাগ ভেঙে দিতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাজেট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। স্থানীয় কাউন্সিলের ১৩ সদস্যের মধ্যে ৯ জনই শহরে ‘জননিরাপত্তার একটি নতুন মডেলে’র কথা বলছেন।প্রসঙ্গত যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ মে ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েড নামের কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে নৃশংসভাবে হত্যা করে পুলিশ। সেই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে দেখা গেছে, ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটুচাপা দিয়ে তাকে নিঃশ্বাস বন্ধ করে হত্যা করা হয়। ফ্লয়েড বারবার পুলিশকে বলছেন, তিনি নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না।