বিশ্ব ব্যাংকের অভিযোগ মিথ্যা-বানোয়াট প্রমাণিত: প্রধানমন্ত্রী
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২২, ২০২২ , ২:২৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ব ব্যাংকের অভিযোগ মিথ্যা-বানোয়াট প্রমাণিত হয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থের জন্যই পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। আজ বুধবার (২২ জুন) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রমত্তা পদ্মা নদী দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন ছিল। এই সেতুর মাধ্যমে তারই সংযোগ সাধন হয়েছে।
পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থ, ব্যক্তিগত একটা স্বার্থ, এই স্বার্থের জন্যই আমাদের ওপর দুর্নীতির অভিযোগ আনে বিশ্ব ব্যাংক। একজন বিশেষ ব্যক্তি এ ষড়যন্ত্র করেছিলেন। একজন ব্যক্তি যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদের জন্য এমন করতে পারেন তা ছিল আমার কল্পনার বাইরে। কারও ন্যূনতম দেশপ্রেম না থাকলেই এমনটি সম্ভব।
পদ্মা সেতু নিয়ে রাজনীতির বিষয়ে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর বিষয়ে জাপানের প্রতিবেদন আমাদের হাতে আসার পর ২০০১ সালের ৪ জুলাই আমরা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। বারবার এই নদীর ওপর সেতু করা যাবে না। তাই এই সেতুতেই রেল সেতু সংযুক্ত করেছি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, আমি কোনোমতেই পদ্মা নদীকে সংকোচন করার পক্ষে ছিলাম না। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন পদ্মা নদীর ঢেউ বা স্রোত কখন কোনদিকে যাবে সেটা কেউ বলতে পারে। তাই আমার সিদ্ধান্ত ছিল যে, পুরো নদীতেই যেন জাহাজ, স্টিমার চলাচল করতে পারে এমন ব্যবস্থা রাখা।
পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংক ওকাম্বোকে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিল। অথচ ওকাম্বো নিজেই দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এ বিষয়ে আমরা দুদককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তারা তদন্তে কিছুই পায়নি। এরপর বিশ্ব ব্যাংক কানাডার আদালতে মামলা দায়ের করলেও আদালত স্পষ্ট জানান, পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে পদ্মা সেতু নিয়ে বিরোধীদের দাঁতভাঙা জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন সময়ে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত বেশ কয়েকজনের মন্তব্য পাঠ করে তিনি বলেন, আমার মনে হয় আমাদের দেশে যারা বিরোধিতা করেন তাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। কেমন যেন পরাজিত মানসিকতা। অথচ আমরা জাতির পিতার নেতৃত্বে ৯ মাস মুক্তি সংগ্রাম করে এই দেশকে স্বাধীন করেছি। এখান থেকেই তাদের পাকিস্তানপ্রীতির একটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
দেশের জনগণের উদ্দেশে তিনি জানান, প্রতিটা প্রকল্প নিয়েই আমি পরিকল্পনা করি যে এতে জনগণের কতটুকু লাভ হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের শক্তিতে আমি বিশ্বাস করেছি। কারণ যেদিন আমি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম, সেদিন অনেকেই এর বিরোধিতা করলেও এদেশের মানুষ আমাকে প্রেরণা দিয়েছে।
উন্নয়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, একদিকে পদ্মা সেতু যেমন তৈরি করেছি, অন্যদিকে অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের কাজও চলছে। সেসব কাজও থেমে ছিল না।