ব্যস্ত সময় পার করছে কুষ্টিয়ার কামারপাড়ার কারিগররা
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৩০, ২০২০ , ২:৩৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম হচ্ছে ঈদুল আজহা। আর এই ঈদে মুসলিম ধর্মের অনুসারীরা আল্লাহকে খুশি করতে পশু জবাই করে থাকে। এই পশু জবাইয়ের জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়ার কামার শিল্পের কারিগররা। তবে এবারে করোনার কারণে অন্যান্যবারের থেকে তুলনামূলক কম কাজ হচ্ছে বলে জানান কামারেরা।
সরেজমিনে মিরপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগুনে গরম লোহায় ওস্তাদ-সাগরেদের পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে কামার পল্লী। আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন ধারালো সরঞ্জামাদি।
এরমধ্যে রয়েছে দা, চাকু, ডাসা, বঁটি, হাসুয়া, চাপাতি। কোরবানির পশু জবাই করার বিভিন্ন ধাপে ছুরি, দা, চাপাতি এসব ব্যবহার করা হয়। ঈদের বাকি আর কয়েকদিন। তাই পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে কামার পল্লীগুলো অনেকটাই ব্যস্ত সময় পার করছে।
করোনায় এবার ঈদের আগে কাজের চাপ বেশি নেই
মশান বাজারের নিমাই মন্ডল জানান, এ পেশায় অধিক পরিশ্রম, জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হলেও শুধু বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ পেশাটিকে এখনও আঁকড়ে ধরে থাকা। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার কাজের পরিমাণও একটু কম।
উজির কর্মকার জানান, ভচরের অন্যান্য সময়ের থেকে কোরবানির ঈদের আগে একটু কাজের চাপ বেশি থাকে। তবে এবার করোনার কারণে একটু কম। তিনি আরও জানান, নতুন ডাসা তৈরি করতে ৫ থেকে ৭শ টাকা, ছুরি পোড়ানোর ক্ষেত্রে ১২০-১৫০ টাকা এবং বটি পোড়ানোর ক্ষেত্রে ৭০ টাকা নেওয়া হয়।
আমকাঠালিয়া থেকে এই কামারপল্লীতে আসা জনি ইসলাম জানান, কোরবানির ঈদের আরও কয়েকদিন বাকি তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম তৈরি ও কয়েকটা মেরামতের কাজ সারলাম।