ভোরের কাগজের ৩০ বছরে পদার্পণ
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১ , ১১:০১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : হাঁটি হাঁটি পা পা করে তিন দশকের মাইলফলক স্পর্শ করল ভোরের কাগজ। ১৯৯২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরুর পর কাল পরিক্রমায় সে ছুটে চলেছে নিরন্তর। প্রথমে ‘মুক্ত প্রাণের দৈনিক’ ও পরে ‘মুক্ত প্রাণের প্রতিধ্বনি’ স্লোগানে এগিয়ে চলার পথে এসেছে অনেক ঝড়-ঝাপ্টা, বাধা-বিপত্তি। কিন্তু কোনো কিছুই তার যাত্রাকে স্থিমিত করতে পারেনি। বিচ্যুত করতে পারেনি নীতি ও আদর্শ থেকে। একদল তরুণের সৃষ্টি সুখের উল্লাসে যে স্বপ্নের বিজ সূচিত হয়েছিল তা আজ পরিণত হয়েছে মহিরূহে।
টগবগে যৌবনের যে প্রাপ্তি দেশ ও জাতি ভোরের কাগজ থেকে পেয়েছে তা স্মৃতির মণিকোঠায় জ্বল জ্বল করতে থাকবে অবিরত। সংবাদপত্র জগতের প্রথাগত সব নিয়ম-কানুন ভেঙে ভোরের কাগজ গণমাধ্যম জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দেখিয়েছে নতুন পথের দিশা। কী করে প্রথম দিন থেকেই একটি সংবাদপত্র পাঠকপ্রিয় হয়, তা দেখিয়েছে ভোরের কাগজ। প্রতিদিন একটি সংবাদপত্রের জন্য পাঠক অপেক্ষা করে কখন আসবে হকার, তাও দেখিয়ে দিয়েছে ভোরের কাগজ।
যাত্রাপথের নানা প্রতিবন্ধকতা, হয়রানি ও কণ্ঠরোধ করার হাজারো চেষ্টার কঠিন বাস্তবতা শক্তহাতে মোকাবিলা করেছে ভোরের কাগজ। কোনো রক্তচক্ষু ভোরের কাগজকে দমাতে পারেনি। স্বৈরাচারমুক্ত বাতাসে ভোরের কাগজ আত্মপ্রকাশ করলেও গণতন্ত্রের যেসব সুযোগ ভোরের কাগজের পাওয়া উচিত ছিল তার সবটা অবশ্য জোটেনি। ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েনি নির্বিঘ্নে চলার পথের যাত্রী হওয়ার। যাত্রাপথের নানা বাঁকে ভোরের কাগজ পড়েছে অনেক প্রতিবন্ধকতায়। যাদের সঙ্গী করে যাত্রা শুরু করেছিল ভোরের কাগজ, বাস্তবতার কঠিন কশাঘাতে তাদের অনেকেই নিরবচ্ছিন্ন যাত্রী থাকতে পারেননি। যারা এখনো যাত্রী হয়ে আছেন তারা হয়ে গেছেন মহিরূহ।
নাঈমুল ইসলাম খানের হাত ধরে যাত্রা শুরু হলেও প্রায় দেড় যুগ ধরে চালকের আসনে রয়েছেন শ্যামল দত্ত। তার যুগোপযোগী পরিকল্পনা ও নিখুঁত সম্পাদনায় ভোরের কাগজ যেতে চায় আরো বহু দূর। ২৯ বছর পূর্তির পর ৩০ বছরে পা দেয়ার এ ক্ষণে ভোরের কাগজ গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও মানবিকতার মূলমন্ত্রে আজো অবিচল।