ভয়াবহ ফেরি জার্নিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১, ২০২২ , ২:৩৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস
দিনের শেষে ডেস্ক : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর শনিবার ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে টি–টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে সেন্ট লুসিয়া থেকে ডমিনিকার উদ্দেশে সমুদ্রযাত্রায় ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলো টাইগার ক্রিকেটাররা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেন্ট লুসিয়া থেকে ক্রিকেটারদের গন্তব্য ছিলো মার্টিনেক হয়ে ডমিনিকা। সেন্ট লুসিয়া থেকে টাইগারদের ফেরি যখন মাঝ সমুদ্রে নামে তখনই শুরু হয় উত্তাল ঢেউ আর এর সঙ্গে যুক্ত হয় ‘মোশন সিকনেস’। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে টাইগাররা।
তবে সমুদ্রযাত্রা নিয়ে ভয় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আগে থেকেই ছিলো। এর আগে কারোরই অভিজ্ঞতা ছিলো না এত দীর্ঘ সমুদ্র পাড়ি দেয়ার! এছাড়া সম্প্রতি আঘাত হানা সাইক্লোনের কারণে সমুদ্রও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উত্তাল ছিলো। সব মিলিয়ে ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতাই হয়েছে ক্রিকেটারদের।
যদিও সমুদ্রযাত্রার শুরুটা খুব হৈ-চৈ করেই কাটিয়েছেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু ঢেউয়ের তোড়ে ফেরির বড় বড় দুলুনিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা হয়েছে পেসার শরিফুলের। পলিথিনে মুখ ঢুকিয়ে একাধিকবার বমিও করেছে সে। এছাড়া নুরুল হাসান এবং ম্যানেজার নাফিস ইকবালও বেশ ভুগেছেন। তাদের অবস্থা দেখে বাকিরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
৫ ঘণ্টা ফেরির এ যাত্রা পথে চলার দেড় ঘণ্টা পর মার্টিনেক নামক দ্বীপে যাত্রা বিরতি ছিলো। সেসময় কয়েকজন ক্রিকেটার অনুরোধ করেন, তাদের যেন সেখান থেকে বিমানের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু যাত্রার মাঝপথে বিরতি দিলেও বিমানের টিকিট জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। ফলে বাকি পথও ফেরিতেই পাড়ি দিতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। এদিকে, টাইগার ক্রিকেটার মুনিম শাহরিয়ার সমুদ্রযাত্রা নিয়ে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন।
সেখানে তিনি বলেন, একমাত্র প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাদেরকে তার সৃষ্টির অনেক নিদর্শন দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন তাই আমরা আল্লাহর কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ! মাশাআল্লাহ মহান রব্বুল আলামীনের সৃষ্টি অনেক সুন্দর! সেই ছোটবেলায় আটলান্টিক মহাসাগরের কথা বইতে পড়েছি আজকে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে খুবই ভালো লাগছে!
নতুন একটা এক্সাইটমেন্ট কাজ করতেছিল এবং আমরা যখন পাড়ি দিচ্ছিলাম তখন অনেক আনন্দ করছিল আবার অনেকে ভয়ও পাচ্ছিলাম। আজকের দিনটা অনেক স্মরণীয় হয়ে থাকবে!