আজকের দিন তারিখ ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব মমতাকে ৫ লাখ রুপি জরিমানা কলকাতা হাইকোর্টের

মমতাকে ৫ লাখ রুপি জরিমানা কলকাতা হাইকোর্টের


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৭, ২০২১ , ১:২৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক :  নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কোশিক চন্দ। বুধবার বেলা ১১টার দিকে তিনি রায় ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে মামলাকারী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ লাখ রুপি জরিমানাও করেন। বিচারব্যবস্থাকে কলুষিত করার জন্য তাকে এ জরিমানা করা হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। ওই জরিমানার অর্থ জমা দিতে হবে রাজ্য বার কাউন্সিলে, যা পরবর্তীকালে কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে। এ বার এই মামলা কোন বেঞ্চে যাবে, ‘মাস্টার অব রোস্টার’ হিসেবে তা ঠিক করবেন হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল।

মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি চন্দ স্পষ্ট জানান, তার বিরুদ্ধে মামলাকারীর পক্ষ থেকে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার জন্য তিনি সরছেন না। বরং, বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার কারণেই তিনি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার কথায়, ‘আমার সঙ্গে একটি রাজনৈতিক দলের গভীর সম্পর্ক রয়েছে, তাই মামলাটি ছেড়ে দেওয়া উচিত – এই অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সাধারণ মানুষের উপর ছাড়া যায় না। এটা বিচারপতি ঠিক করবেন। কারও কোনও রাজনৈতিক পছন্দ থাকতে পারে না, এটা এ দেশে প্রায় অসম্ভব। বিচারপতিরাও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন। তারাও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ভোট দেন। তাছাড়া বিচারপতির নিয়োগ সংক্রান্ত সিক্রেট রিপোর্ট জনসমক্ষে আনাটা কি ঠিক? একজন মুখ্যমন্ত্রী গোপনীয়তা বজায় রাখারও শপথ নেন।’

মামলার রায় ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মতো একজন সাংবিধানিক প্রধানকে জরিমানা লজ্জাজনক ঘটনা। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ব্যবস্থা করছি। নন্দীগ্রামে ভোটের ফল গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট পুনর্গণনার দাবিও জানান তিনি। কিন্তু নন্দীগ্রাম মামলাটি বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে উঠতেই আপত্তি জানায় তৃণমূল।

তাদের দাবি, বিচারপতি চন্দের সঙ্গে বিজেপি-র পূর্ব যোগ রয়েছে। ফলে নিরপেক্ষ বিচার হবে কি না, তা নিয়ে ভরসা নেই শাসকদলের। তাই এ মামলা অন্য বেঞ্চে সরানোর আর্জি জানানো হয়। এ নিয়ে হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের কাছে আবেদনও করে তারা।