মার্কিন ক্যাপিটল হিলে হামলা: প্রাউড বয় নেতার ১৭ বছরের জেল
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩ , ১২:০৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনের শেষে ডেস্ক : ঘটনা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির। ওই দিন মার্কিন ক্যাপিটল হিলে আক্রমণ চালিয়েছিল তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুসারীরা। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে নির্বাচনে হেরে গিয়ে কারচুপির অভিযোগ তোলেন ট্রাম্প। এরপর মার্কিন ক্যাপিটল হিলে হামলা হয়। সেদিন কংগ্রেসের ভিতর ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছিল তারা। অতি দক্ষিণপন্থি একাধিক সংগঠন সেই হামলায় অংশ নিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই হামলার অন্যতম নেতা জোসেফ বিগসকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মার্কিন আদালত।
আদালতে জোসেফ বলেছেন, তিনি অহিংসায় বিশ্বাসী। কিন্তু ওইদিন সকলের উত্তেজনা দেখে তিনিও উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন। নিজের কাজের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন বিগস।
একইদিনে আরেক অতিদক্ষিণপন্থি নেতা জ্যাছারি রেলকেও শাস্তি দিয়েছেন আদালত। তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত বছর মে মাসেই জোসেফকে দোষী প্রমাণিত করা হয়। শাস্তি শোনাতে বেশ কিছুদিন সময় নিয়েছেন আদালত। বিচারক এদিন বলেছেন, ওই দিনের ঘটনায় আমেরিকার মূল স্পিরিট আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। আমেরিকার গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। মানুষের ভোটকে অস্বীকার করা হয়েছিল। সে কারণেই চরমতম শাস্তি দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তদের।
বিগস এর আগে ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। পরে ইনফোওয়ার্স নামের এক ওয়েবসাইটে লিখতেন তিনি। সেখানেও নানা ষড়যন্ত্রমূলক বিষয়ে আলোকপাত করতেন বিগস। প্রাউড বয়েসের সঙ্গেও তার নিবিঢ় যোগাযোগ ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতি দক্ষিণপন্থি আলোচনায় যুক্ত হতেন তিনি।
বস্তুত, প্রাউড বয়েস একটি অতি দক্ষিণপন্থি সংগঠন। বর্ণবিদ্বেষমূলক নানা কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা আলোচনা করতো। ট্রামপন্থি এই সংগঠন ৬ জানুয়ারির হামলায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল বলে অভিযোগ।
বিগসের জন্য ৩৩ বছরের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছিলেন সরকারি আইনজীবী। কিন্তু বিচারক জানিয়েছেন, বিগস কাউকে হত্যার চেষ্টা করেননি। ওই ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণ যায়নি। ফলে সর্বোচ্চ শাস্তি তাকে দেওয়া যায় না। তবে সেদিন যা ঘটেছে তা অভূতপূর্ব বলে বর্ণনা করেছেন বিচারক।
ক্যাপিটল হামলার জন্য এখনও পর্যন্ত এক হাজার একশ’ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর আগে আরেক অপরাধীকে ১৯ বছরের সাজা শোনানো হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা, বিবিসি, ডয়েচে ভেলে