আজকের দিন তারিখ ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব মালয়েশিয়ায় পূর্ণাঙ্গ লকডাউন ঘোষণা

মালয়েশিয়ায় পূর্ণাঙ্গ লকডাউন ঘোষণা


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ২৯, ২০২১ , ৪:১৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক : রেকর্ড পর্যায়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়ায় ‘পূর্ণাঙ্গ লকডাউন’ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন। আগামী ১লা জুন থেকে ১৪ই জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে এই লকডাউন। এ সময়ে সব রকম সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় সেবা এবং অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ খাত অপারেশনে থাকবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। শুক্রবার দেশজুড়ে এই লকডাউনের ঘোষণা দেন মুহিদ্দিন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা মনে করছেন পবিত্র রমজান মাস এবং ঈদুল ফিতরে একত্রে জমায়েত হওয়ার কারণে এই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
এর প্রেক্ষিতে লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন বলেন, সর্বশেষ দৈনিক সংক্রমণের ঘটনায় নাটকীয়ভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এতে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের হাসপাতালে স্থান সংকুলান সীমিত হয়ে আসছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার টানা চতুর্থ দিনের মতো মালয়েশিয়ায় রেকর্ড সংখ্যক ৮২৯০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫১৪। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যাও রেকর্ড গড়েছে। এই সংখ্যা ৬৩। তবে শুক্রবার মারা গেছেন ৬১ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৫৫২। সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটরে রোগীর সংখ্যা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশটিতে করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এর গতি খুব ধীর। বৃহস্পতিবার নাগাদ প্রায় ১৭ লাখ মানুষ টিকার কমপক্ষে প্রথম ডোজ নিয়েছেন। মুহিদ্দিন বলেছেন, অর্থনৈতিক খাত পুরো বন্ধ রাখার বিষয়ে ব্যক্তি এবং অর্থনৈতিক খাতে প্রণোদনা প্যাকেজ শিগগিরই ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী। লকডাউনের প্রথম দু’সপ্তাহে যদি আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে আনা যায়, তাহলে সরকার কিছু কিছু খাত খুলে দেয়ার অনুমতি দিতে পারে।
গত বছর করোনা সংক্রমণের পর থেকে এ পর্যন্ত ৩০০০০ কোটি রিঙ্গিত প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া। জানুয়ারি থেকে দেশটি ছিল জরুরি অবস্থার অধীনে। তখন পার্লামেন্ট ছিল স্থগিত। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল সীমিত।