মাসব্যাপী সাওম পালনের ফজিলত
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৭, ২০১৬ , ১২:২৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: ধর্ম ও জীবন
অনলাইন ধর্ম ডেস্ক: মুসলমানের জন্য রমজান মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ফরজ ইবাদত। সিয়াম সাধনা বা রোজা চালু হয়েছে হজরত আদম (আ.)-এর আমলে। রমজান অর্থ জ্বালিয়ে দেওয়া। আর রমজান এক বছরের ছোট বা সগিরা গুনা জ্বালিয়ে দেয়। তাই প্রতি বছর মুমিন ব্যক্তির সগিরা গুনাগুলো জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য রমজান মাস আসে। রমজান মাসে যেসব গুনা মাফ হয় তা সগিরা গুনা। নামাজ, রোজা, নেক কর্ম দ্বারা গুনা সগিরা মাফ হয়। (সূত্র : বুখারি, তিরমিজি)।
বড় বা কবিরা গুনা তওবার মাধ্যমে মাফ হয়। আর তওবা মৃত্যুর এক ঘণ্টা আগে কবুল হয়। (সূত্র : মুসনাদে আহমদ)। রোজা ৩০ দিন ফরজ হওয়ার তাত্পর্য হলো, আদম (আ.) জান্নাতের গাছের ফল খাওয়ার পর তা ৩০ দিন পেটে ছিল। যখন তিনি খাঁটি তওবা করলেন তখন আল্লাহ ৩০ দিন তাকে রোজা রাখার হুকুম দিলেন। তার অপরাধ ও দেহ থেকে খাদ্যের উপকরণ দূর করার জন্য ৩০ দিন রোজা ফরজ করেছেন। (দুররাতুন নাসেহিন : ২৯)।
অন্য রেওয়ায়েতে আছে, মানুষ কোনো খাদ্য খেলে তার উপকরণ ৩০ দিন পর্যন্ত থাকে। তাই আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) গন্ধম খেলে তার উপকরণ ৩০ দিন পর্যন্ত থাকবে। সে জন্য অপবিত্র খাদ্য থেকে পবিত্র করার জন্য ৩০ দিন রোজা ফরজ করেছেন। (মাজালিসুল আবরার)। আল্লাহতায়ালা আদম ও হাওয়াকে সৃষ্টি করার পর জান্নাতে বসবাসের আদেশ দিলেন এবং বললেন যে, নিষিদ্ধ গাছের কাছে যেও না। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে আদম ও হাওয়া গাছের ফল খেলেন এবং আল্লাহর আদেশ অমান্য করার কারণে তাদের দুনিয়ায় পাঠালেন। নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়ার কারণে আদম (আ.)-এর দেহের রং কালো হয়ে যায়।
তখন ফেরেস্তারা তাঁর দেহের রং আগের মতো পরিবর্তনের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। তখন আল্লাহ চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার নির্দেশ দিয়ে ওহি পাঠালেন। আদম (আ.) ওহি অনুযায়ী রোজা রাখলেন। এতে তার গায়ের রং উজ্জ্বল হলো।
এ কারণে এ তিন দিনকে আইয়ামে বিজ বা উজ্জ্বল দিবস বলা হয়। দুনিয়ার প্রথম মানব আদম (আ.) রোজা রাখার পদ্ধতি চালু করেন। (গুনিয়াতুত তালেবিন)। মহান রব্বুল আলামিন রমজানকে নিজের মাস হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। যেমন— হাদিসে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘রমজান মহান আল্লাহর মাস।’ (বুখারি ২/৫৮৪, হা: নং-১৮৯৪)।