আজকের দিন তারিখ ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় মিতু হত্যা মামলায় নছর ও রবিন ৭ দিনের রিমান্ডে

মিতু হত্যা মামলায় নছর ও রবিন ৭ দিনের রিমান্ডে


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১২, ২০১৬ , ৮:১০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


5চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে প্রকাশ্য পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার আবু নছর গুন্নু (৪০) ও শাহ জামান রবিনের (২৮) ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগ হাকিম হারুনুর রশিদ এ আদেশ দিয়েছেন।

রিমান্ড শুনানিতে অংশ নেয়া চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে বুধবার (৮ জুন) সকালে হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ থেকে আবু নছরকে এবং গতকাল শনিবার সকালে নগরীর বায়েজিদ থানার শীতলঝর্ণা এলাকা থেকে সন্দেহভাজন যুবক শাহ জামান রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ বলছে, আবু নছরের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ফরহাদাবাদ গ্রামে। তিনি স্থানীয় মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি একসময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। এছাড়া  রবিন সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়া অনুসরণকারী সেই যুবক।

এদিকে আবু নছর হাটহাজারীর মূসাবিয়া দরবার শরীফ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলে দাবি করছে দরবারের পরিচালনা কমিটির একাংশ। তাকে আটকের পর মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। ৯ জুন রিমান্ড শুনানিতে আদালত তাকে কোন সূত্রে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটার প্রমাণ দাখিলের নির্দেশ দেন।

গুন্নুকে আটকের পর মূসাবিয়া দরবারের পরিচালনা কমিটির একাংশ সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছে, পুলিশ ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে মিত‍ু হত্যায় ফাঁসিয়েছে।

এদিকে আজ রোববার রিমান্ড শুনানিতে আদালতে গুন্নুকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ নথিপত্র দাখিল করে।  এর আগে শনিবার রাতে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়।

গত ৫ জুন সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ছেলেকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। অতি সম্প্রতি বাবুল আক্তারের পদোন্নতির পর ঢাকায় অবস্থান করলেও তার স্ত্রী ছেলে-মেয়েকে নিয়ে নগরীর জিইসি এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।

এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নিজে বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।