মূল মার্কেটে ফিরেই বাজিমাত!
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৪, ২০২১ , ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক: ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) থেকে মূল মার্কেটে ফিরেই বাজিমাত করে দিল চার কোম্পানি। মন্দা বাজারেও কোম্পানিগুলোর শেয়ারের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। কোম্পানি চারটি হলো : মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস এবং মুন্নু ফেব্রিকস। কোম্পানি চারটি দীর্ঘদিন ওটিসি মার্কেটে লেনদেন করেছে। তবে ওটিসি মার্কেটে কোম্পানিগুলোর কদর না থাকলেও মূল মার্কেটে ফেরার পর কদর ছিল আলাদা। সর্বোচ্চ দরে কোম্পানিগুলোর শেয়ার কেনার জন্য বেশ আগ্রহী ছিল বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু সর্বোচ্চ দরেও কোম্পানিগুলোর শেয়ার কিনতে পারেনি তারা। কোম্পানিগুলো মধ্যে সার্কিট ব্রেকারের ১০ শতাংশ সর্বোচ্চ দরে পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১টি, মনোস্পল পেপারের ১টি, তমিজউদ্দিনের ১টি এবং মুন্নু ফেব্রিকসের ১৫০১টি। এদিকে, লেনদেন শুরুর আগে কোম্পানি চারটির মুনাফা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি চারটির মধ্যে তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইলের মুনাফা বেড়েছে। বাকি ৩টি কোম্পানির- মনোস্পুল পেপার, পেপার প্রসেসিং ও মুন্নু ফেব্রিকসের মুনাফা কমেছে। কিন্তু মুনাফা কমলেও চাহিদার ক্ষেত্রে কদর ছিল সমানতালে। চাহিদার ক্ষেত্রে কোন যাচাই-বাছাই ছিল না। কোম্পানি চারটিরই সমান চাহিদা ছিল। বিনিয়োগকারীরা যেন বিশেষ চাহিদা প্রকাশের মাধ্যমে কোম্পানি চারটিকে মুল মার্কেটে অভ্যর্থনা জানাল।
কোম্পানিগুলো মূল মার্কেটে ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত হয়ে লেনদেন করছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডিএসইতে মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ট্রেডিং কোড হল : “MONOSPOOL” ও কোম্পানি কোড হল : ১৯৫০৫, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ট্রেডিং কোড :”PAPERPROC” ও কোম্পানি কোড : ১৯৫০৬ , তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের ট্রেডিং কোড : “TAMIJTEX” ও কোম্পানি কোড : ১৭৪১৯ এবং মুন্নু ফেব্রিকসের ট্রেডিং কোড : “MONNOFABR” ও কোম্পানি কোর্ড ১৭৪৩৯।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় কোম্পানিটির চারটির পুনঃ তালিকাভুক্তির অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনের পর আজ থেকে ডিএসইর মূল মার্কেটে কোম্পানিগুলোর লেনদেন শুরু হল। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল। ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল মনোস্পুল পেপার। পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংও ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। মুন্নু ফেব্রিকস ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। অন্য তিনটির মতো এটিও ২০০৯ সালে ওটিসি বাজারে স্থানান্তরিত হয়। মূল বাজারে ফিরলেও কোম্পানি চারটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সব শেয়ারের তিন বছরের লক-ইন বা বিক্রয় নিষেধাজ্ঞা থাকবে। অর্থাৎ এ তিন বছর কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা তাঁদের হাতে থাকা কোনো শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। মূল বাজারে ফেরার পর কোম্পানিগুলোতে যাতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে, এ কারণে এ বিক্রয় নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।