আজকের দিন তারিখ ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সম্পাদকীয় মেট্রোরেল প্রকল্প : যথাসময়ে বাস্তবায়ন হোক

মেট্রোরেল প্রকল্প : যথাসময়ে বাস্তবায়ন হোক


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সম্পাদকীয়


পরীক্ষামূলক যাত্রায় মেট্রোরেল বাস্তবের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল। গত রবিবার দুপুর ১২টায় মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক পরিচালনা ও পরীক্ষণের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পুরো প্রকল্প এখন দৃশ্যমান। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উত্তরা থেকে স্বল্প সময়ে মতিঝিলে পৌঁছা যাবে। রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে জনগণের অভিযোগের শেষ নেই। দুর্ভোগ ঢাকা মহানগরীর মানুষের নিত্যসঙ্গী। আশা করা হচ্ছে, ঢাকা মহানগরীর জনগণের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান হবে মেট্রোরেল প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর যানজট কমাতে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত উড়ালপথে ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হচ্ছে। করোনা মহামারিতে নির্মাণে প্রভাব পড়ে। নতুন উদ্যমে এখন কাজ চলছে। একটি মাসিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার লাইনের সমন্বিত অগ্রগতি হয়েছে ৬৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার লাইনের অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। ২০২৪ সালের মধ্যে পুরো প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত শেষ করার নতুন লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা আশা করছে যথাসময়ে তারা কাজ শেষ করতে পারবে। এতে করে নগরবাসীরও স্বপ্ন পূরণ হবে। ২ কোটির বেশি মানুষের শহর ঢাকা। কিন্তু সেই তুলনায় নাগরিক সুবিধা বিশেষত স্বাচ্ছন্দ্যে নগরীর এক প্রান্ত থেকে অন্যত্র ভ্রমণের সুবিধা এখনো খুবই সীমিত। যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভোগান্তির শেষ নেই এই মেগা সিটির নাগরিকদের। নগরবাসীর নিত্যদিনের ভোগান্তি কমিয়ে আনা এবং সময় বাঁচাতে সরকার রাজধানী ঢাকাকে মেট্রোরেলের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়। ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি স্কয়ার মিটারে ৮ জনের হিসাবে ব্যস্ততম সময়ে প্রায় ১ হাজার ৭০০ যাত্রী চলাচল করতে পারবে। মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশন হবেÑ উত্তরা, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর-১০ নম্বর, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম এবং মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকায়। বলা হচ্ছে, ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও যানজট নিরসনে মেট্রোরেল ইতিবাচক ভ‚মিকা রাখবে। বিশেষজ্ঞদের মতে ঢাকার বিপুলসংখ্যক যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামলাতে মেট্রোরেলের মতো গণপরিবহনই হতে পারে একটি কার্যকর বিকল্প ব্যবস্থা। মেট্রোরেল প্রতি ঘণ্টায় ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। ফলে মেট্রোরেল স্থাপিত হলে রাস্তায় যাত্রী এবং পরিবহন উভয়ের ওপরই চাপ কমবে। এর ফলে সড়কপথে যানবাহন চলাচল কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে। মেট্রোরেলে বিভিন্ন রুটে সাশ্রয়ী খরচে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হলে প্রাইভেটকার এবং অন্যান্য যানবাহনে করে চলাচল করার প্রবণতা হ্রাস পাবে। মেট্রোরেল, পাতালরেলসহ আরো ফ্লাইওভার নির্মিত হতে যাচ্ছে রাজধানীতে। তবে যেন সময়ের কাজ যথাসময়ে শেষ হয়।